• 'মানুষ বাজারে যেতে ভয় পাচ্ছে,' দামবৃদ্ধি নিয়ে 'ধমক' মমতার, দিলেন একাধিক নির্দেশও
    আজ তক | ১০ জুলাই ২০২৪
  • মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কেন্দ্রের ঘাড়ে দায় চাপালেন মুখ্যমন্ত্রী। বাজারে গত জুনের মাঝামাঝি থেকেই আকাশছোঁয়া সবজি-আনাজের দাম। মঙ্গলবার দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বৈঠক করেন। আলু-পেঁয়াজ নিয়ে একাধিক নির্দেশ দেন তিনি।

     তিনি বলেন, "দামবৃদ্ধি দেখার দায়িত্ব কেন্দ্র সরকারের। কিন্তু কেন্দ্র সরকার এতে ফেল করেছে। গত ১০ দিনে দাম আরও বেড়ে গেছে। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর, হয়তো পার্টি ফান্ডে টাকা দিয়েছে, বন্ড কিনেছে। তিনমাস ধরে নির্বাডন চলেছে, ফলে এই সময়ে যে যা পেরেছে দাম বাড়িয়ে নিয়েছে। পাইকারি মালের জোগান কমে গেছে কেন?" দামবৃদ্ধি নিয়ে ধমক দিয়ে মমতা বলেন, "ইনকাম করার তো লিমিট আছে, চাষিরা তো টাকা পাচ্ছে না। ট্রেডার্সরা কয়েকজন এটা পাচ্ছে। কেন এত দাম বাড়ছে?" 

    লাউ আগের বার ছিল ৪০ টাকা, এখন ৫০ টাকা। এছাড়া, ঝিঙে, পটল, কাঁচালঙ্কা সবেরই দাম বেশি। যদিও গতবারের থেকে তুলনায় কম। গতবারের থেকে কয়েকটি সবজির দাম এবার কিছুটা কম। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলে, "বর্ষা আসার পরও দাম কমার লক্ষণ নেই। এখন সবজি কিনতে ভয় পাচ্ছে মানুষ। বাজারে যেতে ভয় পাচ্ছে মানুষ। লোকে খাবে কী?" অন্য রাজ্যে আলুর দাম চলছে ৪৫ টাকা, পেঁয়াজ ৭০ টাকা।

    পেঁয়াজ নিয়ে মমতার বক্তব্য, নাসিকে পেঁয়াজের দাম অনেক বেশি। আমি কেন ট্রান্সপোর্ট করব? নাসিক থেকে পেঁয়াজ আনা বন্ধ হোক। আমি এখানে পেঁয়াজের স্টোর বাড়িয়ে দিয়েছি। সুখসাগর বেশি করে বিক্রি করলে দাম অনেক কমে যাবে। সুফল বাংলা স্টোরে ১০-১৫ শতাংশ কমে পাওয়া যাচ্ছে।

    আলু নিয়ে তিনি বলেন, "বাংলা শষ্য বিমা প্রকল্পে ১ কোটি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে আমরা সাহায্য করেছি, ৩১৩১ কোটি টাকা এতে খরচ হয়েছে। আলুকে শস্য বিমার আওতায় আনা হয়েছে, তারপরও কেন দাম বাড়ছ? আগেরবারও নতুন আলু আসার পর পুরনো আলু পড়েছিল। কোল্ড স্টোরেজে এখনও কেন পড়ে ৪৫ লক্ষ মেট্রিক টন আলু? তাহলে এত দাম বাড়ছে কীকরে? আলু বাইরে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে না তো? বড় ব্যবসায়ীরা আলু আটকে রাখছে কোল্ড স্টোরেজে। বাজারে আলুর স্টেডি দাম রাখতে হবে যাতে মানুষ বাঁচে। আলুকে শষ্য বিমার আওতায় আনা হয়েছে। নতুন আলু যেই উঠবে ৫ শতাংশ রেখে বাকিটা ছেড়ে দিন।"

    আরও বলেন, খুব শীঘ্রই ডিমের ওপর আর বাংলাকে কারও ওপর নির্ভর করতে হবে না। ডিমে বাংলা আত্মনির্ভর হতে চলেছে। 

    তাঁর আরও দাবি, 'কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করা হচ্ছে। যেরকম পাঁঠা বেশি বিক্রির জন্য অনেকে মুরগির বার্ড ফ্লু হয়েছে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। '

    ধমক দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কেন চাষিদের কাছ থেকে আরও বেশি করে কিনছি না? চাষিরা দাম পাচ্ছে না, এদিকে বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। টাস্ক ফোর্সের কাজ ছিল আপনারা দেখুন।
  • Link to this news (আজ তক)