কীটনাশক খেয়ে বর্ধমানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গলসি এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বর্ষা খাতুনের। সমপ্রেমী সম্পর্ক হওয়ায় সেই সম্পর্ক মেনে নেয়নি পরিবার। বর্ষাকে বুঝিয়ে অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক করেন তাঁরা।

পরিবারের অভিযোগ, বর্ষাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় ওই তরুণী। তাই বর্ষা যাতে ওই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারে সেই কারণে ফোনের রিচার্জ করে দেওয়া হত না। কিন্তু বেশ কিছুদিন আগে গলসি এলাকার ওই তরুণী বর্ষার ফোনে রিচার্জ করে দেয় এবং পুনরায় বর্ষার সাথে ফোনে যোগাযোগ করে। তারপরের দিন সকালেই বর্ষা কীটনাশক খায়। 

বর্ষাকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে তাঁর পরিবার। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসতে বলা হয় তাঁর পরিবারকে। আর্থিক সমস্যার কারণে কলকাতায় নিয়ে যেতে পারেনি পরিবার। বর্ধমানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানেই মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিস একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করেছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিক্যাল হাসপাতালের মর্গে।

আপনি কি অবসাদগ্রস্ত? বিষণ্ণ? চরম কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার হাত ধরতে তৈরি অনেকেই। কথা বলুন প্লিজ... 

iCALL (সোম-শনি, ১০টা থেকে ৮টা) ৯১৫২৯৮৭৮২১

কলকাতা পুলিস হেল্পলাইন (সকাল ১০টা-রাত ১০টা, ৩৬৫ দিন) ৯০৮৮০৩০৩০৩, ০৩৩-৪০৪৪৭৪৩৭