অয়ন ঘোষাল: আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আঞ্চলিক অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত জানিয়ে দিলেন আজকের বিকেলের আবহাওয়া। প্রবল বৃষ্টি, ধস।
উত্তরবঙ্গ
মঙ্গলবারে প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে। বৃষ্টির পরিমাণ হতে পারে ২০০ মিলিমিটারের বেশি। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দার্জিলিং কালিম্পং জলপাইগুড়ি জেলায়। মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বজ্রপাত ও সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা।
★ বুধবার থেকে ফের বৃষ্টির পরিমাণ ও ব্যাপকতা বাড়বে। উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী অর্থাৎ, প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা ফের জারি করা হয়েছে। প্রবল বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার জেলায়। যেখানে ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা। কালিম্পং কোচবিহার জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়।
★ বৃহস্পতিবারেও ভারী থেকে অতি ভারী/প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা থাকবে আলিপুরদুয়ার জেলায়। এছাড়া দার্জিলিং কালিম্পং জলপাইগুড়ি কোচবিহার জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা।
★ শুক্রবারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দার্জিলিং আলিপুরদুয়ার জলপাইগুড়ি জেলায়। কোচবিহার ও কালিম্পং জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
★ শনিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং কালিম্পং আলিপুরদুয়ার কোচবিহার জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
চলতি সপ্তাহেই আরও একবার দুর্যোগে দুর্ভোগ হতে পারে উত্তরবঙ্গে।
★ পার্বত্য এলাকায় ধস নামতে পারে। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে।
★ নদীর জলস্তর বাড়তে পারে। নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা।
★ ভারী বৃষ্টিতে দৃশ্যমানতা কমতে পারে। টেলি কমিউনিকেশন বিপর্যস্ত হতে পারে।
★ কাঁচা বাড়ি ও কাঁচা বাঁধের ক্ষতি হতে পারে। শস্য চাষের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা।
দক্ষিণবঙ্গ
★ আজ ও কাল 'স্ক্যাটার্ড রেইন' হবে। বৃষ্টির পরিমাণ ও সম্ভাবনা কিছুটা কমবে। তবে বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। বুধবার পর্যন্ত এই পরিস্থিতি থাকলেও বৃহস্পতিবার থেকে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।
★ বুধবার ১০ জুলাই পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান বীরভূম মুর্শিদাবাদ নদীয়া জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা কিছুটা বেশি থাকবে।
★ বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস; সঙ্গে বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকবে।
মৌসুমী অক্ষরেখা রাজস্থান থেকে শুরু হয়ে জয়সলমীর, ভিলওয়াড়া, রাইসেন, রাজনন্দগাঁও হয়ে পুরী পর্যন্ত বিস্তৃত। এরপর দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত আপাতত পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও উত্তর পশ্চিমবঙ্গসাগরে অবস্থান করছে। দক্ষিণ পশ্চিম দিকে ঝুঁকে এটি উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে অবস্থান করছে। এর থেকে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা ওড়িশা উপকূল সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত হয়েছে গজলডোবায় ১৮০ মিলিমিটার। সেবকে ১৭০ মিলিমিটার। বক্সাদুয়ারে ১৫০ মিলিমিটার। নাগরাকাটায় ১৪০ মিলিমিটার। জলপাইগুড়িতে ১৩০ মিলিমিটার।