সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যেতে চেয়েছিলেন কুণাল ঘোষ! এ মাসের শেষে রাজ্যের বাইরে এ নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি! সাংবাদিক সম্মেলন করে এহেন অভিযোগ করেছিলেন মানিকতলা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। সেই অভিযোগ উড়িয়ে কুণাল ঘোষের পালটা দাবি, “গোটা অডিও-তে বিজেপিতে যাওয়া নিয়ে কোনও কথাই হয়নি। আর বিজেপিতে যোগ দিতে হলে পচা কল্যাণ চৌবেকে আমার দরকার নেই। আমাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চেনেন।”
কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেন, মানিকতলায় জিততে ‘ঘুষে’র প্রস্তাব দিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে! তাঁর কথায়, ফোনে দলের সঙ্গে অন্তর্ঘাতের প্রস্তাব দেন কল্যাণ। বিনিময়ে খেলার জগতে তাঁকে জাতীয় বা রাজ্যস্তরে বড় পদে বসানোর টোপ দেন এআইএফএফ সভাপতি। পালটা কল্যাণের দাবি, “কিছুদিন আগে এক মিডিয়েটরের মাধ্যমে উনি জানান উনি বিজেপিতে যোগ দিতে চান। তখন পার্টি তাঁকে নিতে চায়নি। বর্তমানেও একই অবস্থা। এই মাসের শেষে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে দেখা করতে চান। আমি যখন বুঝতে পারছি, তিন সপ্তাহ বাদে একজন লোক আমার দলে আসছে, তাহলে তিন সপ্তাহ আগেই তার সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলি।” এই দাবির প্রেক্ষিতে কুণালের জবাব, “আমি যদি বিজেপিতে যেতাম তাহলে কি এই অডিও ফাঁস করতাম!”
বিজেপি প্রার্থীর আরও দাবি, “আমার মনে হয়েছে প্রার্থী হিসেবে অ্যাপ্রোচ করেছি। আমার কাজই হল সকলের সঙ্গে দেখা করা। ভোট চাওয়া। যে কোনও ধর্মের মানুষের কাছে অ্যাপ্রোচ করেছি। যাদের বাড়িতে পৌঁছতে পারিনি তাই ফোনে পৌঁছানোর চেষ্টা করি।” কুণাল বলছেন, “আমি তো মানিকতলার ভোটারই নই। বেলেঘাটার ভোটার। উনি তো প্রার্থী হিসেবে সেটা জানেন। তাহলে কেন ভোট চাইতে ফোন করবেন?”
কুণাল আগেও কল্যানের বাড়িতে আসতেন বলে দাবি করেছেন বিজেপি প্রার্থী। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতার দাবি, ময়দানের রাজনীতি করেছি। মোহনবাগান নিয়ে আলোচনা করতে ওঁর বাড়ি যেতেন। পরিশেষে কল্যাণের অভিযোগ, তাঁর বক্তব্য আংশিকভাবে রাখা হয়েছে। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে কুণালের দাবি, “রাত ৮টায় পূর্ণাঙ্গ অডিও পোস্ট করব। ধর্মেন্দ্র প্রধান ইস্যুতে ক্ষমা চেয়েছে কল্যাণ। আমার বিজেপি যোগের গল্প নিয়ে একটি শব্দ নেই। ভোটে সাহায্য চেয়ে বিনিময়ে পদ দেওয়ার কথা বলেছে। রাত আটটায় মিলিয়ে নেবেন।”