মানিকতলায় জিততে কুণালকে ‘ঘুষে’র প্রস্তাব কল্যাণ চৌবের! অডিও প্রকাশ করে বিস্ফোরক TMC নেতা
প্রতিদিন | ১০ জুলাই ২০২৪
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানিকতলায় জিততে কুণাল ঘোষকে ‘ঘুষে’র প্রস্তাব কল্যাণ চৌবের! উপনির্বাচনের ২৪ ঘণ্টা আগে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মানিকতলা উপনির্বাচনের জন্য তৈরি তৃণমূলের কমিটির আহ্বায়ক কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)। সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন কুণাল। তাঁর কথায়, ফোনে দলের সঙ্গে অন্তর্ঘাতের প্রস্তাব দেন কল্যাণ। বিনিময়ে খেলার জগতে তাঁকে জাতীয় বা রাজ্যস্তরে বড় পদে বসানোর টোপ দেন এআইএফএফ সভাপতি। পালটা কল্যাণের দাবি, “আমার মনে হয়েছে প্রার্থী হিসেবে অ্যাপ্রোচ করেছি। যে কোনও ধর্মের মানুষের কাছে অ্যাপ্রোচ করেছি। যাদের বাড়িতে পৌঁছতে পারিনি তাই ফোনে পৌঁছানোর চেষ্টা করি।”
রাত পোহালেই মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। তৃণমূল প্রার্থী প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডে। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির কল্যাণ চৌবে। তিনি আবার এআইএফএফ সভাপতি। তৃণমূল প্রার্থীকে জেতাতে কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কমিটির আহ্বায়ক পদে রয়েছেন কুণাল ঘোষ। প্রচারে মারাত্মক সক্রিয় তিনি। এবার তাঁকেই ‘দলে টানতে’ ঘুষের প্রস্তাব দিয়ে বসলেন বিজেপি প্রার্থী! এমনই অভিযোগ কুণালের।
মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে টেলিফোনে কথোপকথনের অডিও প্রকাশ্যে আনেন কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, রবিবার রাত সাড়ে ১১টায় কল্যাণ চৌবে তাঁকে ফোন করেছিলেন। তৃণমূল নেতার কথায়, “আমাকে ভোটে অন্তর্ঘাতের প্রস্তাব দেওয়া হয়। বিনিময়ে খেলার জগতে রাজ্য বা জাতীয়স্তরে বড় পদের প্রস্তাবও দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী।” যদিও সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন কুণাল। অডিও পোস্ট করে কুণালের দাবি, বিজেপির নিশ্চিত পরাজয় বুঝে অনৈতিকভাবে ঘুষ দেওয়ার কথা বলছেন কল্যাণ চৌবে। বিজেপি প্রার্থী নিজের স্বার্থে এআইএফএফকে ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ। বিজেপি প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ার জন্য মানিকতলার বাসিন্দাদের কাছে আবেদন করেন কুণাল।
সূত্রের খবর, মানিকতলায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কুণাল তৃণমূলের সব চোরাস্রোত সামলে দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে ভোটে নামাচ্ছেন বলেই তাঁকে সরাতে মরিয়া বিজেপি। এআইএফএফ সভাপতির পদ অপব্যবহার করে তাই বড় পদের অফার দেওয়া হল মোহনবাগান সহসভাপতি কুণাল ঘোষকে। কুণাল এই অফার প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, এই বিজেপি প্রার্থীকে একটা ভোটও দেওয়া উচিত নয়।
বিজেপি প্রার্থীর পালটা দাবি, “উনি বলেছিলেন ফোন করবেন ১১টা নাগাদ। তার আগেই ভেবে রেখেছিলেন ফোন রেকর্ড করবেন। সৌজন্যের বাইরে রাজনীতি করেছেন। খেলার জগতে জায়গা করে দেওয়ার প্রস্তাবের কথা এডিট করা হয়েছে। পুরো কথা নয় এটা।”