রঘুনাথপুরে ২টি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগী তৃণমূল সাংসদ
বর্তমান | ১০ জুলাই ২০২৪
সংবাদদাতা, রঘুনাথপুর: নির্বাচনে জয়লাভের পরেই এলাকার উন্নয়ন কাজে শামিল হতে সচেষ্ট হলেন বাঁকুড়ার তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী। লোকসভার অন্তর্গত রঘুনাথপুর-১ ব্লকের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা তৈরির জন্য অনুমোদন চেয়ে সাংসদ সোচ্চার হয়েছেন। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা দপ্তরে তিনি এনিয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। প্রায় ২৫কিমি রাস্তা দু’টির জন্য প্রায় ১৪ কোটি টাকা অনুমোদন চাওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লক এলাকার আড়রা গ্রাম পঞ্চায়েতের উইভিং স্কুল মোড় থেকে তালাজুড়ি মোড়(অহল্যাবাই) পিচ রাস্তা এবং শাকা গ্রাম পঞ্চায়েতের শাকা আমতল থেকে আদ্রা (ভায়া গোপীনাথপুর) রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। দু’টি পিচ রাস্তার দীর্ঘদিন সংস্কার হয়নি। তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
জানা গিয়েছে, উইভিং স্কুল মোড় থেকে তালাজুড়ি মোড়(অহল্যাবাই) রাস্তাটি দূরত্ব ১৪.৯৮ কিমি। রাস্তাটির জন্য সাত কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাস্তা সংস্কার হলে আদ্রা রেলস্টেশন ও মেটালশহর রেলস্টেশনের যাত্রীদের খুবই সুবিধা হবে। রঘুনাথপুর থেকে বাঁকুড়া যাওয়ার জন্য রাস্তাটি খুবই শর্টকাট। রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলার কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। আড়রা পঞ্চায়েতের প্রধান তুফান রায় বলেন, রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। আমাদের সাংসদ রাস্তাটির জন্য সক্রিয় হয়েছে। এটা খুশির খবর।
অন্য রাস্তাটি ১০.৭৯ কিমি দীর্ঘ। এই রাস্তার জন্য ৬ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে এলাকার মানুষ সহজে রেল শহর আদ্রা ও শাকা রেল স্টেশন যাতায়াত করতে পারে। প্রতিদিন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, শ্রমিক সহ কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে। শাকা পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা তথা পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের মাইনরিটি সেলের জেলা সভাপতি সাদ্দাম আনসারি বলেন, তৃণমূল সরকার সব সময় মানুষের পাশে রয়েছে। আমাদের সাংসদ অরূপবাবু কাজের মানুষ।
তিনি দেখিয়ে দিচ্ছেন কাজ করার সদিচ্ছা থাকলে কীভাবে উন্নয়নের কাজ করা সম্ভব। বিজেপির সাংসদ গত পাঁচ বছরে রঘুনাথপুরে এক টাকারও কাজ করেননি। তাই মানুষ তাঁকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে।
বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতি বাণেশ্বর মুখোপাধ্যায় বলেন, পাঁচ বছর তৃণমূল সরকার বিজেপির সাংসদকে কোনও কাজই করতে দেয়নি। ওরা যে প্রকল্পে রাস্তা তৈরির কথা বলছে, সেটা তো কেন্দ্রের টাকা। আর তৃণমূলের সাংসদ তো অনুমোদন চেয়েছে। আগে কাজ হোক। অরূপবাবু বলেন, নির্বাচনী প্রচারের সময় এলাকার মানুষ রাস্তা দু’টির বিষয়ে জানিয়েছিলেন। রাস্তা দু’টি যাতে সংস্কার করা হয় তার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন জানিয়েছি।