নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আকাশ স্পর্শ করেছে কাঁচা সব্জির দাম। খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে মঙ্গলবার গড়িয়া বাজারে গিয়ে দেখা গেল, সব্জির দাম খানিকটা হলেও কমেছে। বিক্রেতাদের বক্তব্য, গত রবিবারের তুলনায় সব্জির দাম কমেছে। আরও কমবে। মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসাবে তাঁরা বলছেন, তীব্র গরমে সব্জি নষ্ট হচ্ছিল। এবার বৃষ্টি ভালো হচ্ছে বলে দাম নামতে শুরু করেছে। আরও নামবে বলেই অনুমান তাঁদের। তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগের পরেও আশাবাদী বিক্রেতা এবং ক্রেতারা।
বিক্রেতাদের বক্তব্য, আসলে সব্জির দাম সরকারের হাতে থাকে না। প্রকৃতির কাছে সকলেই অসহায়। প্রবল গরমে গাছ মরে যাচ্ছিল। সব্জির উৎপাদন কমে গিয়েছিল। তাই সবরকমের সব্জির দাম বেড়ে গিয়েছিল। এখন যেহেতু পরিমাণ মতো বৃষ্টি হচ্ছে, উৎপাদনও ধীরে ধীরে বাড়ছে, তাই সব্জির দাম কমতে শুরু করেছে। কিন্তু ফের যদি বৃষ্টির পরিমাণ অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যায়, তখন আবার দাম বাড়ব।
একই সঙ্গে বিক্রেতাদের দাবি, সব্জির সঙ্গে আলুর দাম বাড়ার কোনও যুক্তি নেই। এই সুযোগেই আলুর দাম অনেকখানি বেড়ে গিয়েছে। গড়িয়া বাজারে এদিন দেখা গেল, চন্দ্রমুখী ও জ্যোতি আলুর দাম যথাক্রমে ৪০ ও ৩৫ টাকা কিলো। বিক্রেতাদের বক্তব্য, গত রবিবারের তুলনায় যা ৩ থেকে ৫ টাকা কম। অন্যদিকে, সাংঘাতিক দাম বেড়েছিল বেগুনের। মান অনুযায়ী ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কিলো দাম উঠেছিল। সেদিক থেকে এদিন দেখা গেল, বেগুনের দাম ১০০ টাকা কিলো। পটল-পেঁপের দাম প্রতি কিলো ৪০ টাকার আশপাশে ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু ক্যাপসিকাম, বিনস এই ধরনের সব্জি যেহেতু বাইরে থেকে আসে, তাই এর দাম যথাক্রমে ১০০ ও ২০০ টাকা প্রতি কিলো বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, পেঁয়াজের দাম এই বাজারে ৫০ টাকা কিলো।
একই সঙ্গে মাছের দামও খানিকটা কমেছে বলেই দাবি গড়িয়া বাজারের বিক্রেতাদের। ইলিশের দাম ১০০০ টাকা কিলো হলেও, রুই-কাতলার দাম প্রতি কেজি যথাক্রমে ২০০ ও ২৫০ টাকা। কাটা নিলে সেই দাম খানিকটা বাড়ে। ক্রেতাদেরও বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী যেহেতু নিজে এই বিষয়টা নিয়ে উদ্যোগ নিয়েছেন, তাই আশা করি কিছুদিনের মধ্যে সব্জির দাম মধ্যবিত্তের আয়ত্তে আসবে।