রানাঘাট দক্ষিণ সহ রাজ্যের ৪ বিধানসভা কেন্দ্রে চলছে উপনির্বাচন। আর রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে কাজ করার অভিযোগ তুললেন তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী। ভোটের দিন সকালে বিভিন্ন বুথ পরিদর্শন করতে দেখা যায় মুকুটমণিকে। তৃণমূল প্রার্থী বলেন, 'কেন্দ্রীয় বাহিনীর তৎপরতা অত্যন্ত দৃষ্টিকটূ ও চোখে পড়ার মতো। উপনির্বাচনে প্রতিটি বুথে ৪ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান রয়েছেন। সঙ্গে রাজ্য পুলিশও আছে। রাজ্য পুলিশ সম্পূর্ণ সহযোগহিতা করছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে গুন্ডামি করছে, পাড়ার মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে, কারও কারও বাড়ির মধ্যেও ঢুকে যাচ্ছে। হিজুলি ১ নম্বর অঞ্চলে ১১৬, ১১৭, ১১৮ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী বুথের মধ্যে ঢুকে বিজেপির হয়ে দালালি করছে। তাই দালাল কেন্দ্রীয় বাহিনী ও দালাল নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে লড়াই যথেষ্টই কঠিন।'একইসঙ্গে বিজেপিকেও একহাত নেন রানাঘাট দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, 'বিজেপি গেরুয়া জঙ্গিদের ঢোকাচ্ছে। বিজেপি বজরং দলের সদস্যদের ঢোকাচ্ছে। একইসঙ্গে বিজেপির ছেলেরাও বিভিন্ন জায়গায় ঢুকছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু আমরা নো ভায়োলেন্সের পক্ষে।'
এদিন নিজের জয় নিয়েও আত্মবিশ্বাসী দেখায় মুকুটমণি অধিকারীকে। একইসঙ্গে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জগন্নাথ সরকারকেও এদিন নিশানা করেন তৃণমূল প্রার্থী। এমনকী ২০১৯ সালে জগন্নাথ সরকারকে জেতানোর নেপথ্যে তাঁর অনেক ভূমিকা ছিল বলেও দাবি করেন মুকুটমণি।
মুকুটমণিকে অবশ্য পালটা জবাব দিয়েছেন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তিনি বলেন, 'লোকসভা নির্বাচনে হেরে মুখ পুড়েছে। আবার উপনির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন, এবারও হারবেন। তিনি (মুকুটমণি অধিকারী) আগাম বুঝতে পেরে গিয়েছেন, তাই উলটোপালটা কথা বলা শুরু করেছেন।' আসলে এই সবই আদতে মকুটুমণির অজুহাত বলেই দাবি জগন্নাথ সরকারের।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন মুকুটমণি অধিকারী। কিন্তু ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। তাঁকে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির জগন্নাথ সরকারের বিরুদ্ধে প্রার্থীও করে তৃণমূল। যদিও শেষ পর্যন্ত জয়ের মুখ দেখতে পারেননি মুকুটমণি। ফের একবার ওই কেন্দ্র থেকে জয়ী হন জগন্নাথ। এদিকে ভোটে লড়াইয়ের আগে বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন মুকুটমণি। তার ফলে ওই কেন্দ্রে আয়োজিত হয় উপনির্বাচন।