• সরকারি বেশকিছু রুটের বাস যাচ্ছে বেসরকারির হাতে, নতুন পথে আয় বাড়বে নিগমের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১০ জুলাই ২০২৪
  • কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, অগস্ট মাসের শুরুতেই ১৫ বছরের পুরনো বাস বাতিল হয়ে যাবে। ফলে রাস্তায় বাসের সংখ্যা কমে যাবে বলে মনে করছেন অনেকে। এই আবহে রাজ্য সরকার মানুষকে পরিষেবা দিতে পিপিপি মডেলে বেশ কিছু সরকারি বাস তথা রুটকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেবে বলে সূত্রের খবর। তবে তাতে খরচ কমিয়েই পরিষেবা দেওয়া হবে। প্রথম দফায় চারটি সরকারি রুটের প্রায় ৫৮টি বাস বেসরকারি হাতে চুক্তির মাধ্যমে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এটা ঘটলে শহরে বাস সঠিক পরিমাণেই থাকবে। আবার ভাড়া বাড়াতে হবে না।

    কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে দুর্গাপুজোর আগে বিভিন্ন রুটের দেড় হাজারের বেশি বাস–মিনিবাস বাতিল হয়ে যাচ্ছে। পেট্রল–ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিও হয়েছে। এই ইস্যুকে সামনে রেখে বেসরকারি বাস মালিক সংগঠন ভাড়া বৃদ্ধি করার জন্য দু’‌দফায় চিঠি লেখেন পরিবহণমন্ত্রীকে। নতুন বাস পথে নামছে রাজি নয় ভাড়া বৃদ্ধি না হলে। পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমে চালক ও কন্ডাক্টরের অভাব রয়েছে। কারণ একাধিক চালক ও কন্ডাক্টর অবসর নিয়েছেন। আর নতুন নিয়োগ বন্ধ। তাই কয়েক বছরের পুরনো বহু সরকারি বাস ডিপোতে পড়ে আছে। এই আবহে ভাড়া না বাড়িয়ে, মানুষের উপর অর্থের চাপ তৈরি না করে এই বিকল্প পথ বেছে নিয়েছে পরিবহণ দফতর। এই বিষয়ে পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘এই মডেল সফল হলে আরও বেশ কয়েকটি রুটের জন্য একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

    এই সিদ্ধান্তের ফলে বেসরকারি বাস মালিকদের দিয়ে সরকারি রুটে চালাতে পিপিপি মডেলকে কাজে লাগাচ্ছে পরিবহণ নিগম। প্রথম দফায় সি–২৬ রুটের ১৮টি বাস বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। এরপর আরও বেশ কয়েকটি রুটের বাস বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হবে। মালিকরা নিজস্ব ভাড়ায় এই রুটে সরকারি বাসগুলি চালাবে। সেখানে নিজেদের কন্ডাক্টর ও চালক থাকবে। এখানে একটা শর্ত আছে—বাস মালিকদের পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমের কাছে প্রত্যেকটি বাসের জন্য এককালীন ৫০ হাজার টাকা ডিপোজিট রাখতে হবে। আর মাসে বাস পিছু ভাড়া দিতে হবে দশ হাজার টাকা।

    রাতে সরকারি বাসগুলি সরকারি ডিপোতেই থাকবে। আর বাসগুলি রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে পরিবহণ নিগমের নিজস্ব গ্যারাজেই সেটা মেরামত করা হবে। সেক্ষেত্রে সরকারি বাসগুলিও ব্যবহার হল, আবার ভাড়া বাড়াতে হল না। এই বিষয়ে পরিবহণমন্ত্রী বলেন, ‘এতে পরিবহণ নিগমের লাভ হবে। কারণ অনেক চেষ্টা করেও বাস থেকে চুরি বন্ধ করা যাচ্ছিল না। একশ্রেণির চালক ও কন্ডাক্টর যোগসাজশ করে যাত্রীদের টিকিট না দিয়ে আদায় হওয়া ভাড়ার টাকা পকেটস্থ করে নিচ্ছিল। সুতরাং বাস চালিয়ে তেলের খরচ উঠছিল না। পিপিপি মডেলে গাড়ি চালালে কোনও খরচ না করে বাস পিছু মাসে একটা নির্দিষ্ট টাকা নিগমের আয় হবে।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)