উপস্থিত সরকারি আধিকারিকদের কাছে জানতে চান, তেলাপিয়া মাছ খেলে ক্যান্সার বা এই জাতীয় কোনও রোগের সম্ভাবনা তৈরি হয় কিনা।আধিকারিকরা নিজেদের মধ্যে আলোচনার পর জানিয়ে দেন, এরকম কোনও তথ্যপ্রমাণ এখনও নেই। যা শুনে চমকে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “কারা রটালো যে তেলাপিয়া মাছ খেলে ক্যান্সার হয়? আমিও তো এতদিন তাই জানিতাম!”এরপরই জনগণকে বরাভয় দিয়ে মমতা বলেন, “নির্ভয়ে তেলাপিয়া মাছ খান। এই মাছ খেলে ক্যান্সার হয় না।”
একই সঙ্গে প্রশাসনের কাছে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, “তেলাপিয়া মাছ নিয়ে যারা মিথ্যা খবর রটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কেন পদক্ষেপ করা হয়নি? “রাজ্যের ‘জল ভরো, জল ধরো’ প্রকল্পে কাটা পুকুরে তেলাপিয়া মাছ ছাড়ার জন্যও আধিকারিকদের নির্দেশ দেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীকে এও বলতে শোনা যায়, হায়দ্রাবাদ থেকে মাছ না এনে আমরা কীভাবে মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারি সেটা দেখতে হবে।আধিকারিকদের উদ্দেশে মুুখ্যমন্ত্রী বলেন, এতদিন রাজ্যের ডিমের অনেকখানি পূরণ করত অন্ধপ্রদেশ। চলতি বছরের ডিসেম্বরে ডিম নিয়ে আমরা আত্মনির্ভর হয়ে যাব। তাহলে মাছের ক্ষেত্রেও আমরা আত্মনির্ভর হতে পারব না কেন। প্রশাসনিক কর্তাদের এ বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।