প্রসঙ্গত আড়িয়াদহের ক্লাবে এক জনকে চ্যাংদোলা করে ঝুলিয়ে রেখে মারধরের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। অভিযোগ, যাঁরা মারধর করছেন, তাঁরা সকলেই জয়ন্তের লোক। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদনের ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় জয়ন্তের পরিচিতি। মদন যদিও তা অস্বীকার করে দাবি করেন, ওরা ‘গুন্ডা’। তিনি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রসঙ্গও তুলেছেন। বিধায়ক জানিয়েছেন, একটা দলের নেতা জয়ন্ত। একটা দলের নেতা রিন্টু। বেআইনিভাবে পুকুর বুজিয়ে প্রোমোটিং নিয়ে তাঁদের সংঘর্ষ বাধে বলেও দাবি করেন মদন।
তিনি এ-ও জানান, পুলিশকে যখনই বলেছেন, পুলিশ সৌগতকে জানাতে বলেছে। তাঁর কথায়, ”যখনই পুলিশকে ফোন করি, পুলিশ বলে সৌগত রায়কে বলুন। আমায় মানতে হবে, কারণ আমার উপরে তিনি। আমার কথা শোনে না। আমার হিসাবে কোনও নিয়োগ, গ্রেফতারি হয় না। সৌগত বার বার বলেছেন, আমি দেখছি।’ ‘পুলিশকেও তোপ দেগেছেন মদন। নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে তিনি দাবি করেছেন, পুলিশ পারে না, এমন কিছু নেই। তাঁর কথায়, ”পুলিশ পারে না, এমন কোনও কাজ নেই। পুলিশ মারতে পারে, পুলিশ রাখতে পারে। পুলিশ খুন রুখতে পারে, খুন করাতে পারে। অথচ সাধারণ মানুষ গণধোলাই খাচ্ছে।”
মদনের এই সব মন্তব্য প্রসঙ্গে সৌগত রায় বলেন, ”ও যা বলছে, প্রতিক্রিয়া দেব না। যা বলছে, বলুক।” এপ্রসঙ্গে তৃণমূল দাবি করেছে, প্রকাশ্যে আসা ভিডিও-টি তিন বছরের পুরনো। মদন জানিয়েছেন, সে সময় তিনি কামারহাটির বিধায়ক ছিলেন না। তারপরেই তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ”পুলিশ সব পারে, অথচ সুবোধ সিংহ, অর্জুন সিংহ, জয়ন্ত সিংহ কেন ছাড় পাচ্ছে?” তিনি এই তিনজনকে ‘তালিবান’ বলেও দাবি করেছেন।