চলতি সপ্তাহেই আরো একবার দুর্যোগে দুর্ভোগ হতে পারে উত্তরবঙ্গে।
পার্বত্য এলাকায় ধস নামতে পারে। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে।
নদীর জলস্তর বাড়তে পারে। নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা।
ভারী বৃষ্টিতে দৃশ্যমানতা কমতে পারে। টেলি কমিউনিকেশন বিপর্যস্ত হতে পারে।
কাঁচা বাড়ি ও কাঁচা বাঁধের ক্ষতি হতে পারে। শস্য চাষের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা।
দক্ষিণবঙ্গ
আজও স্ক্যাটার্ড রেইন হবে। বৃষ্টির পরিমাণ ও সম্ভাবনা কিছুটা কমবে। তবে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। বুধবার পর্যন্ত এই পরিস্থিতি থাকলেও বৃহস্পতিবার থেকে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।
বুধবার ১০ জুলাই পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান বীরভূম মুর্শিদাবাদ নদীয়া জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা কিছুটা বেশি থাকবে।
বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। সঙ্গে বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকবে।
সিস্টেম
মৌসুমী অক্ষরেখা রাজস্থান থেকে শুরু হয়ে জয়সলমীর, ভিলওয়াড়া, রাইসেন, রাজনন্দগাঁও হয়ে পুরি পর্যন্ত বিস্তৃত। এরপর দক্ষিণ পূর্ব দিকে মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্নাবর্ত আপাতত পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও উত্তর পশ্চিমবঙ্গসাগরে অবস্থান করছে। দক্ষিণ পশ্চিম দিকে ঝুঁকে এটি উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে অবস্থান করছে। এর থেকে নিম্নচাপ সৃষ্টি হবার সম্ভাবনা ওড়িশা উপকূল সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরে।
গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাত হয়েছে গজলডোবা ১৮০ মিলিমিটার। সেবক ১৭০ মিলিমিটার। বক্সাদুয়ার ১৫০ মিলিমিটার। নাগরাকাটা ১৪০ মিলিমিটার। জলপাইগুড়ি ১৩০ মিলিমিটার।
কলকাতা
সকালে আংশিক মেঘলা আকাশ। মাঝে মাঝে রোদের দেখা মিলবে। বেলা বাড়লে মেঘলা আকাশ। দুপুর বা বিকেলের দিকে হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা।
পরিসংখ্যান
কাল রাতের তাপমাত্রা ২৮.৮ ডিগ্রি। কাল দিনের তাপমাত্রা ৩৩.৭ ডিগ্রি। দুটি তাপমাত্রাই স্বাভাবিকের থেকে প্রায় ২ ডিগ্রি করে বেশি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ভোরে ৬৩ শতাংশ এবং বেলা বাড়লে ৮৯ শতাংশ।