জানা গিয়েছে, ধনিয়াখালি থানার অন্তর্গত জামাইবাটি কাপগাছি গ্রামের বাসিন্দা সেখ নজিবুল। ২০০৬ সালে তার সঙ্গে বিয়ে হয় ধনিয়াখালিরই চক-সুলতান গ্রামের সাবিনা বেগমের। তাদের দুটি সন্তান, একটি ছেলে ও একটি মেয়ে। বিয়ের কয়েক বছর পরে স্থানীয় এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন নজিবুল। এই নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি চলছিল। ২০১৫ সালের ২৫ অগাস্ট অশান্তি চরমে ওঠে। ওই রাতেই বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে নজিবুল। সন্তানদের সামনেই এই ঘটনা ঘটে। তখন ৬ বছরের ছেলে বাবাকে বাধা দিতে যায়।
এই ঘটনার পর মৃতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত নজিবুলকে গ্রেফতার করে ধনিয়াখালি থানার পুলিস। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর চার্জশিট পেশ করে তদন্তকারী আধিকারিক। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৪৯৮/এ, ৩০২, ২০১ ধারায় মামলা হয়। এরপর ১২ এপ্রিল ২০২২, বিচারকের কাছে বাবার বিরুদ্ধে গোপন জবানবন্দি দেয় ছেলে। মোট ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এরপর চুঁচুড়া আদালতে এসে মা-কে খুনের ঘটনায় সাক্ষ্যও দেয় ১৩ বছরের ছেলে। ঘটনার সময় যার বয়স ছিল ৬ বছর। এদিন সেই মামলায় হুগলি জেলা আদালতের তৃতীয় অ্যাডিশনাল সেশন জাজ কৌস্তব মুখোপাধ্যায় শেখ নজিবুলকে দোষী সাব্যস্ত করেন।