প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে তিস্তা নদীর ভাঙন। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ংকর রূপ নিয়েছে যে, ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে প্রচুর কৃষিজমি। এলাকার বহু মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ভেঙে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। গত তিনদিনে তিস্তার ভাঙনে তলিয়ে গিয়েছে কানাইনগরপাড়া নিউ প্রাইমারি স্কুলভবন। পাশাপাশি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে কানাইনগরপাড়া আইসিডিএস সেন্টারের পাকা ঘরও!
নদী ভাঙন এতই ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে যে, এলাকার দেড়শো মিটার জায়গা ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে! জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের নন্দনপুর বোয়ালমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের 'বাহির চর' বলে পরিচিত এই এলাকা। ভাঙনে তলিয়ে যাওয়া স্কুল ও আইসিডিএস সেন্টার ছিল কালামপুর চরে।
গত কয়েকদিন ধরে পাহাড় ও সমতলে প্রবল বর্ষণের জেরে তিস্তার জলস্ফীতি ভীষণভাবে বেড়ে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানান কানাইনগরপাড়া নিউ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিচার ইন-চার্জ হরিপদ রায়। বর্ষার শুরুতেই নদীর গতিপথ পরিবর্তনের জন্যই এমন ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এই মুহূর্তে নন্দনপুর বোয়ালমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের এই অংশকে রক্ষা করা কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের কাছে। বর্তমানে মণ্ডলঘাট ও নন্দনপুর বোয়ালমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে থাকা কালামপুর চর সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হওয়ার মুখে।