পুলিশের চোখে ধুলো! আদালত থেকে জেলে ফেরার পথে উধাও কুখ্যাত চোর
প্রতিদিন | ১০ জুলাই ২০২৪
অর্ক দে, বর্ধমান: আদালত থেকে জেল নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে গেল চোর। মঙ্গলবার বাগুইহাটির থানার পুলিশ কুখ্যাত চোর বাসুদেব মণ্ডলকে বারাসত আদালতে পেশ করে। অন্যদিকে, বর্ধমান জামালপুর থানার পুলিশ অপর একটি চুরির মামলায় অভিযুক্ত বাসুদেবকে গ্রেপ্তার করে। সেখানেই তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পথেই নিজের কীর্তি দেখায় চোর বাবাজি। তবে পুলিশি কড়া নজরদারি মধ্যে কী করে পালিয়ে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ কর্তাদের ভূমিকা আতস কাচের তলায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমানে (Bardhaman) তাকে নিয়ে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত বাথরুম যাওয়ার কথা বলে। রাস্তায় একটি পেট্রোল পাম্পের বাথরুমে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। তার পরেই ফেরার হয়ে যায় সে। জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় চুরির অভিযোগ থাকা এই বাসুদেব আদতে হুগলির (Hooghly) বলাগড় থানার বাসিন্দা। তবে এই অঞ্চলেই চুরি সীমাবদ্ধ রাখেনি সে। বরং সে তার চৌর্যবৃত্তি কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও বিস্তার করেছে। এছাড়াও এই গুণধরের একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে জানতে পেরেছে পুলিশ। বিভিন্ন ড্যান্স বারেও তার যাতায়াত ছিল। বাসুদেব তার প্রেয়সীদের বাসনা পূরণের জন্যে অর্থ জোগাড় করতে চুরিতে হাত পাকায়।
পুলিশের দাবি, বাসুদেব হঠাৎ করে কোনও এলাকায় চুরি করে না। চুরির আগে ধুরন্ধর এই অভিযুক্তয় চোর এলাকার অলি-গলি সব বুঝে নিত। কখনও সবজি বিক্রেতা। আবার কখনও কল সারানোর মিস্ত্রি বা রাজমিস্ত্রি সেজে এলাকায় রেইকি করে। তার পর সুযোগ বুঝো কোপ মেরে উধাও। একটি চুরির পর বেশকিছু দিন গা ঢাকা দিয়ে থাকে সে। তার পর ভাঁড়ারে টান পড়লে আবারা পরবর্তী মিশন। এইভাবেই কলকাতা, নিউটাউন,বাগুইহাটি ছাড়াও হুগলির বলাগড়, সিঙ্গুর,গুড়াপ,হরিপাল ,ধনিয়াখালি, তারকেশ্বর থানার পুলিশের রাতের ঘুম কেড়ে নেয় বাসুদেব।
সম্প্রতি, বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ হুগলির রিষড়া থেকে তাকে পাকড়াও। ঠাঁই হয় দমদম সেন্ট্রাল জেলে। এর পর নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে বর্ধমানের জামালপুর থানার পুলিশ চুরির মামলায় তাকে হেফাজতে নিয়ে একের পর এক চুরির কিনারা করে। জামালপুর থানার পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ৭টি মোটর বাইক ,১টি আইফোন,১টি ল্যাপটপ ছাড়াও একাধিক জিনিস ও কিছু নগদ টাকা উদ্ধার করে। বাসুদেবের খোঁজে জোরদার তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।