• আলোর রোশনাইতে ভোল বদলে গেল চেনা বর্ধমান স্টেশনের, দেখুন ভিডিয়ো
    এই সময় | ১০ জুলাই ২০২৪
  • রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন বর্ধমান জংশন। লোকাল ট্রেন ছাড়াও দিনভর প্রচুর দূরপাল্লার ট্রেনের যাতায়াত এই স্টেশনের উপর দিয়েই। ফলে প্রতিদিনই রাজ্যের পাশাপাশি ভিনরাজ্যের বহু মানুষের আনাগোনা লেগে থাকে বর্ধমান জংশন স্টেশনে। যদিও সম্প্রতি বিভিন্ন সময় শিরোনামে উঠে এসেছে বর্ধমান স্টেশনের নাম। এবার ফের একবার শিরোনামে বর্ধমান স্টেশন। এবার অবশ্য নবরূপে রাজ্যের অন্যতম ব্যস্ত এই স্টেশনটি।আলোকসজ্জা চমকে দিয়েছে যাত্রীদেরস্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উপলক্ষে ভারতীয় রেলের উদ্যোগে একাধিক স্টেশনকে বিশেষ আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সেই তালিকায় এবার বর্ধমান জংশন স্টেশনটিও। নতুন আলোকসজ্জা দেখে রীতিমতো চমকে উঠেছেন যাত্রীরা। আর শুধু যাত্রীরাই নয়, পথচলতি মানুষও যাতায়াতের সময় রীতিমতো থমকে গিয়ে দেখছেন স্টেশনের আলোকসজ্জা।

    খুশি বর্ধমানের মানুষএই প্রসঙ্গে রমলা দে নামে এক তরুণী বলেন, 'আমি বর্ধমানের মেয়ে। নতুন করে বর্ধমান স্টেশন সেজে উঠেছে দেখে খুবই ভালো লাগছে। স্টেশনের নতুন রূপ দেখে সকলেই খুশি।' পাশাপাশি অক্ষয় মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি বলেন, 'আমি হাওড়া স্টেশনের নিত্যযাত্রী। আগে এমনটা হাওড়া স্টেশনে দেখেছি। সাজানোর পরে সুন্দর লাগছে।' তবে কিছুদিন আগে বর্ধমান স্টেশনের মূল ভবনের একাংশ বা জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। সেই সমস্ত ঘটনাগুলির কথা মনে করিয়ে দিয়ে শুধুমাত্র সাজসজ্জা নয়, রক্ষণাবেক্ষণের উপরেও জোর দেন তিনি।

    নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের দাবিএই বিষয়ে অক্ষয় বলেন, 'শুধু সাজালেই হবে না, মূল বিল্ডিংটির কী অবস্থা তা রুটিন মাফিক পরীক্ষা করা দরকার। স্টেশনের শেডগুলি নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখার দরকার রয়েছে। অনেক সময় দেখা যায় বাইরে থেকে সাজান, কিন্তু বৃষ্টির জল ভিতরে ঢুকছে। তাতেও বড়সড় ক্ষতি হতে পারে। সেগুলিকে মাথায় রেখেই সৌন্দর্যায়ন করতে হবে।' পাশাপাশি যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য যাতে আরও বাড়ান যায়, সেই বিষয়টিও উঠে আসে তাঁর কথায়। একইসঙ্গে এই সৌন্দর্যায়নকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যাত্রীদেরও সমান দায়িত্ব রয়েছে বলে মনে করেন ওই যাত্রী।

    কী বলছেন স্টেশন মাস্টার?এদিকে এই বিষয়ে বর্ধমান জংশন স্টেশনের স্টেশন মাস্টার কুমার পঙ্কজ বলেন, 'অমৃত মহোৎসব উপলক্ষে বর্ধমান স্টেশনের মূল দ্বার আলো দিয়ে সজ্জিত হয়েছে। এটি সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত্রি ১১টা পর্যন্ত জ্বলবে। পুরো বিষয়টি পূর্ব রেলের আধিকারিকরা দেখছেন। এটি স্থায়ীভাবেই সজ্জিত থাকবে।'
  • Link to this news (এই সময়)