• ১৭ তারিখ থেকে শুরু শ্রাবণী মেলা, পূণ্যার্থীদের সুবিধার্থে একগুচ্ছ পদক্ষেপ প্রশাসনের
    এই সময় | ১০ জুলাই ২০২৪
  • শ্রাবণী মেলার প্রস্তুতি তুঙ্গে। বুধবার ঘাট পরিদর্শন করেন শ্রীরামপুরের মহকুমা শাসক শম্ভুদীপ সরকার। সঙ্গে ছিলেন প্রশাসনের একাধিক আধিকারিক। শ্রাবণ মাসে লাখ লাখ ভক্তের সমাগম হয় তারকেশ্বরে। বৈদ্যবাটী নিমাই তীর্থ ঘাট থেকে বাবা তারকনাথের মাথায় জল ঢালতে বহু ভক্ত তারকেশ্বরের উদ্দেশে রওনা হয়। কমবেশি ৩০ কিলোমিটার রাস্তায় হাঁটেন ভক্তরা।শ্রাবণ মাসের প্রত্যেক সোমবার লাখ লাখ ভক্তের সমাগম হয় তারকেশ্বর মন্দিরে। আগামী ১৭ তারিখ থেকে শুরু শ্রাবণী মেলা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতি সপ্তাহে লাখ লাখ মানুষ বৈদ্যবাটী থেকে পায়ে হেঁটে তারকেশ্বরের দিকে রওনা দেবেন। তার জন্য প্রশাসনিক প্রস্তুতি তুঙ্গে। মেলার আগে শেওড়াফুলি এবং বৈদ্যবাটির একাধিক ঘাট ঘুরে দেখেন শ্রীরামপুরের মহকুমা শাসক শম্ভুদীপ সরকার, শ্রীরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক, শেওড়াফুলি জিআরপি-র ভারপ্রাপ্ত অধিকারিক ,পূর্ত দফতরের আধিকারিক, দমকল বিভাগের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকরা ও চাঁপদানীর বিধায়ক অরিন্দম গুইন।

    ঘাটের দু'ধারে শ্রাবণী মেলাকে কেন্দ্র করে বিশাল মেলা বসে। আর তার জন্য প্রশাসনিক তৎপরতা তুঙ্গে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেই জন্য ঘাটে মোতায়ন রাখা হবে পুলিশ বাহিনী। পাশাপাশি ঘাটগুলিতে থাকছে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। করা হবে ব্য়ারিকেডও। এদিন টোটোয় চেপে সেই যাবতীয় উদ্যোগ খতিয়ে দেখেন মহকুমা শাসক।

    শ্রীরামপুর মহকুমা শাসক জানান, আগামী ১৭ তারিখ থেকে শ্রাবণী মেলা শুরু হচ্ছে। যে সমস্ত ভক্তরা শেওড়াফুলি থেকে তারকেশ্বর পর্যন্ত পায়ে হেঁটে যাবেন তাদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা ও সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। সমস্ত বিভাগগুলি সক্রিয়। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে পর্যাপ্ত পুলিশের ব্যবস্থাও থাকছে।

    চাঁদানির তৃণমূল বিধায়ক অরিন্দম গুইন বলেন, 'শ্রাবণী মেলার বাকি আর এক সপ্তাহ। প্রায় ১৫ থেকে ১৬ লাখ পূণ্যার্থীবিভিন্ন ঘাট থেকে জল নিয়ে তারকেশ্বরের উদ্দেশে রওনা দেন। তাঁদের যাত্রাপথে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেই জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড করে দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা গঙ্গা থেকে জল তুলে নিয়ে যাবেন তাঁদের জন্য পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই আয়োজন সুষ্ঠুভাবে হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য এই পর্যবেক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
  • Link to this news (এই সময়)