আড়িয়াদহকাণ্ডে দ্রুত পদক্ষেপ, ভিডিয়ো প্রকাশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার ৩
এই সময় | ১০ জুলাই ২০২৪
আড়িয়াদহের আরও একটি নতুন ভিডিয়ো নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ভিডিয়োতে যাদের দেখা গিয়েছে, তাদের মধ্যে তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম অভিষেক বর্মন ওরফে ছোটু, সুভাষ বের ও সুমন দে। বাকিদের খোঁজেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট।আড়িয়াদহ ক্লাবের একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেই ভিডিয়োতে একজনকে গণপিটুনি দিতে দেখা যায়। ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে শেয়ার করে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই আরও তিনজন পুলিশের জালে। ঘটনায় তদন্তে নেমে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের তদন্তকারী অফিসাররা অভিষেক বর্মন, সুভাষ বের ও সুমন দে নামে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল। ধৃতরা গণপিটুনির ঘটনায় এর আগে গ্রেফতার হওয়া জয়ন্ত সিংয়ের অনুগামী বলেই জানা যাচ্ছে।
ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া সাংবাদিক সম্মেলন জানান, ওই ভিডিয়োতে চিহ্নিত করা তিন ব্যক্তি পূর্বের একটি মামলায় ইতিমধ্যেই জেল হেফাজতে রয়েছে। ভিডিয়ো দেখে আরও তিনজনকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তাদেরকে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি আরও বেশ কিছু যুবককে ভিডিয়োতে দেখা গেলেও তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে।
পাশাপাশি আরও দু একটি ভিডিয়ো সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে যেগুলো খতিয়ে দেখে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। তিনি জানান, কোনওভাবেই অসামাজিক কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি, ওই ভিডিয়ো অনুযায়ী ঘটনাটি আড়িয়াদহের তালতলা ক্লাবে ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। অভিযুক্ত ক্লাব নিয়ে বেশ কিছু ঘটনা সামনে আসার পর ক্লাব কর্তাদের সঙ্গেও কথা বলবেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।
এই ভিডিয়ো সামনে আসার পর তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র জানান, এই ভিডিয়ো বেশ কয়েক বছরের পুরোনো। ২০২১ সালের ভিডিয়োকে এতদিন বাদে সামনে এনে বিতর্ক বাড়ানো হচ্ছে। বাংলাকে কলুষিত করার জন্যেই এটা করা হচ্ছে বলে দাবি করা হয়। এদিন, ক্লাবে গণপিটুনির ঘটনার কোনওরকম তথ্য পুলিশ এর কাছে ছিল না বলেও জানান পুলিশ কমিশনার। ভিডিয়োটি সামনে আসার পরেই দ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। মঙ্গলবারই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। ঘটনাটি যে সময় ঘটেছিল, সেই সময় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলেই পুলিশ এই ঘটনা সম্পর্কে অবগত ছিল না বলেই জানানো হয়েছে।