কোচবিহারে বাস ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৩, কী নিয়ে পালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা?
এই সময় | ১১ জুলাই ২০২৪
কোচবিহারের ঘোকসাডাঙায় বাস ডাকাতির ঘটনায় দশ দিন বাদে দুষ্কৃতীদের ধরল পুলিশ। ডাকাতির ঘটনায় ৩ দুস্কৃতী গ্রেফতার। ধৃতদের নাম আজিনুর ইসলাম, মজিদুল হক ও সিরাজুল মিয়া। তাদের বাড়ি কোচবিহার শহর সংলগ্ন টাকাগাছ এলাকায়। বুধবার ধৃতদের মাথাভাঙা মহকুমা আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজত দেওয়া হয়। পাশাপাশি, এই ঘটনায় আরও কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ব্যাগগুলো নিতে দুস্কৃতীরা বাসে উঠে তাণ্ডব চালিয়েছিল তাতে শুধুমাত্র রুপো ছিল নাকি রুপোর বাটের সঙ্গে অন্যকিছু ছিল সবটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গত ১ জুলাই সকালে কোচবিহারের ঘোকসাডাঙা এলাকায় নদীয়ার রানাঘাট থেকে আসা বেসরকারি বাসে উঠে তাণ্ডব চালায় একদল দুস্কৃতী। বাসে উঠে গুলিও চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলিতে কেউ আহত না হলেও দুস্কৃতীদের আনা কুড়োলের আঘাতে বাস চালক জখম হয়। এরপর ড্রাইভারের কেবিনে থাকা একাধিক ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায় দুস্কৃতীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রীরা জানান, ফালাকাটা থেকে কয়েকজন যুবক মুখে মাক্স পড়া অবস্থায় বাসে ওঠে। এর পরই ঘোকসাডাঙ্গা এলাকায় তারা ওঠে যাত্রীদের বন্দুক দেখিয়ে ভয় দেখায় এবং ফায়ার করে এরপর ড্রাইভারের কেবিনে থাকা একাধিক ব্যাগ নিয়ে তারা বাস থেকে নেমে যায়। ঘটনা জানাজানি হতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য সহ জেলার পুলিশ আধিকারিকরা।
দুষ্কৃতীরা যে ব্যাগটি নিয়ে পালায়, সেটিতে রুপোর বাট ছিল বলে আগেই জানতে পারে পুলিশ। দুষ্কৃতীদের ধরতে বিভিন্ন এলাকায় নাকা চেকিং লাগানো হয়। এরপর সোমবার টাকাগাছের গ্যারেজ থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত গাড়ি ও টাকাগাছ কারিশাল থেকে এক দুস্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই ঘটনায় ব্যবহৃত বোলেরো গাড়ির চালককে পাওয়ার পরেই বাকি দুষ্কৃতীদের নাগাল পাওয়া যায়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই টাকাগাছ ও কারিশাল এলাকা থেকে আজিনুর ইসলাম, মজিদুল হক ও সিরাজুল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তদন্ত চালিয়ে পুলিশ জানতে পারে বেসরকারি বাসের ড্রাইভারের কেবিনে ব্যাগে করে রুপোর বাট রাখা ছিল। তবে ওই ব্যাগে শুধু রুপোর বাট ছিল নাকি আরও কিছু ছিল সে ব্যাপারে খোঁজ চলছে। ওই ব্যাগ বসে কী ভাবে এল, সেই বিষয় নিয়েও ধৃত দুষ্কৃতীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।