বৃহস্পতিবার থেকেই উত্তরবঙ্গে বাড়বে বৃষ্টি, জারি লাল সতর্কতা
এই সময় | ১১ জুলাই ২০২৪
একদিকে যখন দক্ষিণবঙ্গে চলতি বর্ষায় বৃষ্টিপাতের ঘাটতি রয়েছে, সেই সময় উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। শনিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বর্ষণ হতে পারে। রবিবার থেকে সামান্য হাওয়া বদলের সম্ভাবনা।চলতি বছর সময়ের আগেই উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করেছিল বর্ষা। এরপর থেকে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উত্তরবঙ্গে নাগাড়ে চলেছে বৃষ্টিপাত। সেখানে একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা। এর মধ্যে শনিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।
বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সেখানে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে দার্জিলিং, কোচবিহার, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি জেলার জন্য। বৃহস্পতিবার এই জেলাগুলিতে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জন্য।
শুক্রবার কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি জেলার জন্য। সেখানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। পাশাপাশি এদিন হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে কোচবিহার এবং কালিম্পং জেলার জন্য। শনিবার দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং কালিম্পঙে হতে পারে ভারী বৃষ্টিপাত। সেখানে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
অর্থাৎ উত্তরবঙ্গে ফের একবার দুর্যোগের পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ে কোনও অ্য়াডভেঞ্চার ট্রেক না করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গে বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস, সঙ্গে বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী।
বুধবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২.১ ডিগ্রি বেশি এবং এদিন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৮৮ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৫৮ শতাংশ। চলতি বর্ষায় উত্তরবঙ্গে স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হলেও দক্ষিণবঙ্গে রয়েছে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি।
মৌসুমী অক্ষরেখা রাজস্থান থেকে শুরু হয়ে জয়সলমীর, কোটা শিবপুরি ডালটনগঞ্জ হয়ে পুরুলিয়া কাঁথি পর্যন্ত বিস্তৃত। উত্তরপ্রদেশ থেকে অসম পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা রয়েছে য়া বিহার এবং উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে গিয়েছে।