রোগা চেহারার সুযোগ নিয়ে হাত সাফাই, পুলিশের জালে ২ চোর
এই সময় | ১১ জুলাই ২০২৪
স্লিম চেহারায় বাজিমাত। রোগা পাতলা চেহারা হওয়ায় জানালার শিক বেঁকিয়ে সহজেই গৃহস্থের ঘরে সিঁধ কাটত চোর! উত্তরপাড়া থেকে গ্রেফতার ২। বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে গত দু'মাস ধরে উত্তরপাড়া থানা এলাকার মাখলা ,কানাইপুর এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকেই একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটছিল। অভিযোগ পেয়েই সক্রিয় হয় পুলিশ। আর এই দুষ্কৃতীদের ধরতে বিশেষ টিম গঠন করা হয়। অভিযানে নেমে এলাকার বেশ কিছু সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সন্দেহভাজন ব্যক্তির ছবি হাতে পায় চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ অধিকারিকরা।গত ৩ তারিখ বিট্টু ঠাকুরকে ইকোপার্ক থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। সেখানে একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে কেয়ারটেকারের কাজ করত সে। পরে তার কাছ থেকে আরও এক অভিযুক্তের খোঁজ মেলে। তার নাম বিশ্বজিৎ ওরফে আকাশ। ঘটনা ঘটার পর থেকেই সে তারাপীঠে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল।
যদিও সে কোনও মোবাইল ব্য়বহার করত না। তাই তার ঠিকানা পেতেও বিস্তর বেগ পেতে হয়েছিল পুলিশকে। হাল ছাড়ার পাত্র নয় পুলিশও। স্পেশাল টিমের অফিসারদের তারাপীঠে পাঠানো হয়। বেশ কিছুদিন নজরদারি চালানোর পর ৭ তারিখ আকাশকে হাতেনাতে পাকড়াও করে পুলিশ। তাকে আলাদতে তোলা হয় পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। হেফাজতে দুষ্কৃতীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে উদ্ধার হয় মোট পাঁচ লাখ টাকার সোনা ও রুপোর অলংকার ও নগদ প্রায় এগারো হাজার টাকাও দুটি মোবাইল ফোন , চুরির কাজে ব্যবহৃত লোহার রড,রেঞ্জ,হুক।
এদিন উত্তরপাড়া থানায় সাংবাদিক বৈঠক করেনশ্রীরামপুরের ডিসিপি অর্ণব বিশ্বাস। তিনি বলেন, 'এলাকায় একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটছিল। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রথমে তদন্ত শুরু হয়। সেখান থেকেই দুই জনকে চিহ্নিত করা হয়। তারপর দেখা যায় এদের অতীতের ক্রিমিনাল রেকর্ড রয়েছে। এদের মধ্যে বিট্টু ঠাকুরকে ইকোপার্ক থেকে গ্রেফতার করা হয়। বিশ্বজিৎ চুরির পর তারাপীঠে পালিয়ে যায়। তাকে সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুই জনের বাড়িই শেওড়াফুলি এলাকায়।'
তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া তাদের চুরির সামগ্রী থেকে পুলিশের অনুমান, যেহেতু দুই জনেই রোগা তাই লোহার গ্রিল ফাঁক করে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে পারত। এরপর বাড়ির ভেতর ঢুকে আলমারি ভেঙে লুটপাঠ চালাত। তাদের সঙ্গে আর কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।