গোবিন্দ রায়: এবার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যের পাঁচ শিক্ষকের নিয়োগ নিয়ে জানতে কলকাতা হাই কোর্ট ও প্রশাসনের দ্বারস্থ হল সিআইডি। সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের চাকরির সত্যতা জানতে রেজিস্ট্রার জেনারেলকে চিঠি দিল রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যে এসএসসির (SSC) এক আঞ্চলিক অধিকর্তা ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। তার পরই রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে উঠে আসে আরও ৭ জনের নাম। তাঁদের মধ্যে ৫ জনের চাকরি হাই কোর্টের নির্দেশে হয়েছে বলে দেখানো হয়েছে নথিতে। সেই বিষয়ে তদন্ত এগোতেই সিআইডির এই চিঠি। তদন্তকারীদের দাবি, হাই কোর্টের (Calcutta HC) নির্দেশে ওই ৫ জন চাকরি পায় বলে দাবি করা হয়। কিন্তু নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় এবার সত্যতা জানতে রেজিস্ট্রার জেনারেলকে চিঠি দিল সিআইডি। ৮ জুলাই হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে (Registrar General) সিআইডির তরফে ওই চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
তদন্তকারীরা জানতে চেয়েছে আদৌ কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে চাকরি হয়েছে, নাকি নির্দেশ জালিয়াতি করা হয়েছে। চাকরির নথি দেখে তা স্পষ্ট নয় বলে দাবি সিআইডির। তাই তদন্তকারীরা চান, আদালত তা নিশ্চিত করুক। সিআইডি (CID) সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের গোথা হাইস্কুলে বেআইনি নিয়োগ মামলার সূত্র ধরেই উঠে এসেছে বেআইনি নিয়োগের তথ্য। সিআইডির আরও দাবি, বাঁকুড়া (East Midnapore) এবং পূর্ব মেদিনীপুরের এই দুটি স্কুলে একটি করে বেআইনি নিয়োগের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের করণচাঁদ হাইস্কুলের শুভেন্দু হাঁটুয়া এবং বাঁকুড়ার (Bankura) ভাটরা শ্রীদুর্গা বিদ্যায়তন হাইস্কুলে কর্মরত জেসমিন খাতুন। তাঁদের থেকেই আরও ৭ জনের নাম উঠে এসেছে। তা নিয়ে এবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা।