মেঝেতে হঠাৎ ধস, ভেঙে ঢুকে গেল পড়ুয়ারা! ভয়ঙ্কর ঘটনা ঝাড়গ্রামের স্কুলে
এই সময় | ১১ জুলাই ২০২৪
ক্লাস চলাকালীন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষের মেঝেতে ধস। মেঝে ভেঙে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ে চারজন ছাত্র। ভয়ঙ্কর ঘটনা ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম ব্লকে। পরে চার পড়ুয়াকে উদ্ধার করা হয়। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল খতিয়ে দেখছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম ব্লকের নিচু পাতিনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্কুল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বেলা সাড়ে এগারোটা বিদ্যালয়ের ক্লাস চলছিল। চতুর্থ শ্রেণি এবং প্রথম শ্রেণির ক্লাস চলছিল একটি রুমে। আরেকটি রুমে শিশু শ্রেণি, দ্বিতীয় শ্রেণী ও তৃতীয় শ্রেণির ক্লাস চলছিল। ক্লাস চলাকালীন হঠাৎ চতুর্থ শ্রেণির ক্লাসের রুমে মেঝের কিছুটা অংশে ধস নামে। যার ফলে প্রায় এক দু’ফুট গর্ত হয়ে যায়।
আর ওই গর্তে ব্যাগ, বই, খাতা সহ তিন জন চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী এবং একজন প্রথম শ্রেণীর ছাত্র হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ে। ঘটনায় ক্লাসের মধ্যে শোরগোল পড়ে। বাকি পড়ুয়ারা আতঙ্কে রুম থেকে বাইরে বেরিয়ে ছুটতে শুরু করে। ঘটনার পর গ্রামবাসীরাও স্কুলে আসেন। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে স্কুলের শিক্ষকরা চার পড়ুয়াকে উদ্ধার করে।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুটি ক্লাস রুম প্রায় বারো বছর আগে তৈরি হয়েছিল। শিক্ষকরা মনে করছেন পাশে বয়ে যাওয়া সুবর্ণরেখা নদীর জেরে মেঝের নিচের মাটি আলগা হয়ে যাওয়ায় এই ধস। স্কুলের প্রধান শিক্ষক অপু ঘোষ বলেন, ‘ক্লাস চলাকালীন হঠাৎ রুমের মেঝেতে ধস নামে। যার ফলে চার জন পড়ুয়া ভেতরে ঢুকে গিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাদের উদ্ধার করি। কেউ আহত হয়নি।’ শিক্ষকরা জানান, পাশ দিয়ে সুবর্ণরেখা নদী বয়ে যাওয়ার জেরে বিল্ডিং এর নিচে মাটি আলগা হয়ে ঘটনাটি ঘটতে পারে। তবে এহেন ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় স্কুলের পড়ুয়াদের মধ্যে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ২০০৬ সালে বন্যায় স্কুলটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই সময় থেকে মেঝে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে। তবে, এদিনের ঘটনার পর থেকেই পড়ুয়াদের অভিভাবকদের মধ্যেও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এদিনের ঘটনায় কোনও পড়ুয়া আহত না হলেও যে কোনও বড় ধরনের বিপদ ঘটে যেতে পারতো। স্কুল কর্তৃপক্ষকে শ্রেণি কক্ষের পরিকাঠামোগত উন্নতি করার ব্যাপারে আর্জি জানিয়েছেন অভিভাবকরা।