এবার পড়াশোনার আধুনিকীকরণ ও কলেজ পরিচালনায় ‘কুইক ক্যাম্পাস’ চালুর উদ্যোগ
বর্তমান | ১১ জুলাই ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: কলেজে সন্তানের উপস্থিতি কেমন? পড়াশোনাই বা কেমন চলছে? অনেকক্ষেত্রেই এসব সহজে জানতে পারেন না অভিভাবকরা। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা কেমন চলছে, তা জানা যায় রেজাল্ট দেখে। তখন অনেকটা দেরি হয়ে যায়। কিন্তু এবার অভিভাবকরা সহজে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার বিষয়ে তথ্য পাবেন। আরামবাগ নেতাজি মহাবিদ্যালয়ে পরিচালন ব্যবস্থা ও পঠনপাঠনের উন্নয়নে চালু হচ্ছে ‘কুইক ক্যাম্পাস’ প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে কলেজ পরিচালনার নানা কাজ যেমন তাড়াতাড়ি করা যাবে, তেমনি পড়ুয়া ও অভিভাবকদেরও অনেক তথ্য জানতে সুবিধা হবে।
কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল বিশ্বনাথ গড়াই বলেন, কুইক ক্যাম্পাস সফটওয়্যার কলেজের পরিচালনা ও পঠনপাঠন ব্যবস্থার আধুনিকীকরণে বড় ভূমিকা নেবে বলে আমরা আশাবাদী।
নেতাজি মহাবিদ্যালয় আরামবাগ মহকুমার নামী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই মহকুমা ছাড়াও পাশের জেলার অনেক ছেলেমেয়ে এই কলেজে পড়াশোনা করেন। কলেজের আধুনিকীকরণে কর্তৃপক্ষ একাধিক পদক্ষেপ করছে। কুইক ক্যাম্পাস সফটওয়্যার চালু তার মধ্যে অন্যতম। এই নতুন সফটওয়্যারের মাধ্যমে কলেজের ম্যানেজমেন্ট, স্টাফ, ফ্যাকাল্টি, ছাত্র ও অভিভাবকদের সহজে সমন্বয় করা যাবে। পড়ুয়া ভর্তি, শ্রেণিভিত্তিক তালিকাভুক্তি, উপস্থিতির হার দেখা, স্টাফদের বেতন দেওয়া সহ যাবতীয় কাজকর্ম স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা সম্ভব হবে।
কুইক ক্যাম্পাস প্রযুক্তির মাধ্যমে কলেজ পরিচালনার পাশাপাশি পঠনপাঠন পরিচালনার উপরও নজর দেওয়া হয়েছে। কলেজের কম্পিউটার বিভাগের অধ্যাপক রামানুজ মুখোপাধ্যায় বলেন, কলেজের নিজস্ব ওয়েবসাইট আছে। সেখান থেকে কলেজ-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাওয়া যায়। কিন্তু পুরো প্রক্রিয়াটি এতদিন ইন্টিগ্ৰেটেড ছিল না। কলেজের তরফে এবার সেই ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কুইক ক্যাম্পাস একটি নতুন সফটওয়্যার। এর সাহায্যে পঠনপাঠন কেমন চলছে, পড়ুয়ারা কলেজে উপস্থিত থাকছে কিনা, তাদের পড়াশোনায় অগ্ৰগতি হচ্ছে কিনা-অভিভাবকরা চাইলে জানতে পারবেন। কলেজ পরিচালনার যাবতীয় কাজকর্ম আরও তাড়াতাড়ি করা সম্ভব হবে।
কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের কলা বিভাগের ছাত্র শেখ আফতাব বলেন, কলেজের ওয়েবসাইটে এতদিন প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যেত। এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এসে গুগল সার্চের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের এতদিনের পদ্ধতি বদলে দিয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে কুইক ক্যাম্পাসের মতো সফটওয়্যারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। আমাদের কলেজও নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারে জোর দিচ্ছে দেখে ভালো লাগছে।