• বর্ধমান ও আসানসোলগামী শেষ লোকাল নিয়মিত লেট 
    বর্তমান | ১১ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মানকর: বর্ধমান ও আসানসোলগামী শেষ লোকাল ট্রেন সময়ে চলে না। অভিযোগ, প্রায়ই নির্দিষ্ট সময়ের থেকে দেরিতে চলছে লোকাল ট্রেনগুলি। এর ফলে সমস্যায় পড়ছেন অফিস যাত্রী থেকে পড়ুয়া সকলেই। আসানসোল ডিভিশনের গলসি, পারাজ, মানকর, পানাগড় স্টেশন থেকে বহু মানুষ প্রতিদিন জীবিকার তাগিদে বর্ধমান ও দুর্গাপুরে যান। কিন্তু আসানসোল ও বর্ধমানগামী শেষ লোকাল সময়ে আসে না। ফলে সমস্যা পড়তে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। এনিয়ে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।


    মানকরের বাসিন্দা নিত্যযাত্রী সুরজিৎ গুপ্ত বলেন, আসানসোলগামী শেষ লোকাল ট্রেন একদিনও নির্দিষ্ট সময়ে চলছে না। ফলে অফিসের নাইট ডিউটি ধরতে দেরি হয়ে যায়। কর্তৃপক্ষের কাছে জবাবদিহি করতে হয়। প্রায় প্রতিদিনই ট্রেন দেরিতে চলছে। নিত্যযাত্রী উৎপল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ট্রেন দেরি করলে প্রাণ হাতে নিয়ে রাজবাঁধ স্টেশন থেকে নেমে ডিউটি ধরতে যেতে হয়। যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বর্ষাকালে সমস্যা আরও বাড়ে। বুদবুদের বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ রায়, মনোতোষ আইচ বলেন, প্রতিদিন মানকর স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে দুর্গাপুরে কাজে যাই। লাস্ট লোকাল লেট থাকলে অনেক সময় ডিউটি মিস হয়ে যায়। 


    নিত্যযাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, ০৩৫৫১ লাস্ট লোকাল আগে বর্ধমান স্টেশন থেকে রাত ৮টায় ছাড়ত। রেল ওই ট্রেনটির সময় পিছিয়েছে। এখন ৮টা ৩০ মিনিটে ছাড়ে। তারপরেও সময়ে আসছে না। পারাজের যাত্রী অচিন্ত্য হাজরা, খানা জংশনের মানসকুমার সর বলেন, আসানসোলগামী লাস্ট লোকালের পারাজে সময় ৯টা ২মিনিট। কিন্তু প্রায়ই ২০ থেকে ২৫ মিনিট দেরিতে আসে। অফিসে যাতে দেরি না হয় সেজন্য আসানসোলগামী লাস্ট লোকালের বদলে অনেকেই ০৩৫৪৭ নম্বর ট্রেনটি ধরেন। ফলে চার ঘণ্টা আগে গিয়ে বসে থাকতে হয়। লাস্ট লোকালের জন্য ভরসা করা যায় না।    


    আসানসোলগামী লাস্ট লোকাল শুধু নয়, বর্ধমানগামী শেষ লোকাল ট্রেনেরও একই অবস্থা বলে অভিযোগ যাত্রীদের। নিত্যযাত্রী উৎপল চট্টোপাধ্যায়, জগন্নাথ পাত্র বলেন, ডিউটি শেষ করার পরে সময়ে বাড়ি ফিরতে পারি না। অনেক সময় আধঘণ্টারও বেশি লেট করে ট্রেন। দুর্গাপুর, রাজবাঁধ ছাড়াও রানিগঞ্জ, অণ্ডাল থেকে অনেকে ডিউটি করে বাড়ি ফেরেন। ট্রেনটির দুর্গাপুরে সময় রাত ১০ টা ৩৯ মিনিট হলেও রোজই ১১টা বাজিয়ে দেয়। নিত্যযাত্রীদের বক্তব্য, লোকাল ট্রেনের সময়ের দিকে রেল কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত। গলসির সুজয় লাহা বলেন, দুর্গাপুর থেকে গলসি আসার জন্য সন্ধ্যা ৭টা ১৪মিনিটে রয়েছে রাঁচি-হাতিয়া মেমু এক্সপ্রেস। এই ট্রেনটি চলে গেলে পরের শেষ লোকাল প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা পরে। তিনি বলেন, প্রতিবছর যাত্রী সংখ্যা বাড়লেও ট্রেনের সংখ্যা বাড়েনি। আসানসোল-বর্ধমান রুটে ট্রেন বাড়ানোর আবেদন জানাচ্ছি।


    এবিষয়ে জানতে আসানসোল ডিভিশনের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিককে ফোন করা হলেও সুইচ অফ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি। • নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)