মহানন্দার চরে ভবানীপুরের জল সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী বিধায়ক
বর্তমান | ১১ জুলাই ২০২৪
সংবাদদাতা, চাঁচল: মহানন্দা নদীর মাঝে চরে থাকা গ্রামে জল সঙ্কট মেটাতে উদ্যোগী চাঁচলের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ। মালদহের চাঁচল ১ ব্লকের খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের মহানন্দা নদীর চরে থাকা ভবানীপুর গ্রামে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের জন্য পিএইচই প্রকল্প হবে। ইতিমধ্যে জায়গা পরিদর্শন করে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায়ের হাতে মঙ্গলবার আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন বিধায়ক। প্রকল্পটি চালু হলে ২৫০ টি পরিবার ও একটি প্রাইমারি স্কুলের পড়ুয়ারা পরিস্রুত পানীয় জলের সুবিধা পাবে। মহানন্দা নদীর মাঝে চরে রয়েছে ভবানীপুর গ্রাম। সকালে নদী পার হয়ে এপাড়ে এসে কাজ করে বিকেলে গ্রামে ফিরে যান তাঁরা। বর্ষা হোক বা খরা- জলসঙ্কট পিছু ছাড়ে না চরের বাসিন্দাদের।
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৫০ টি পরিবারের পানীয় জলের জন্য ১ টি মাত্র সাবমার্সিবল ও দুটি গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে। তারমধ্যে দুটি নলকূপ দীর্ঘদিন ধরে বিকল বলে অভিযোগ। উপপ্রধান মলয় বসাক বলেন, বছরের বেশিরভাগ সময় ওই এলাকায় জল সঙ্কটের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিষয়টি বিধায়ককে জানিয়েছিলাম। তিনি আবেদনে সাড়া দিয়ে উদ্যোগী হয়ে এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
ভবানীপুরের ইয়াসিন আলির কথায়, আর্সেনিকযুক্ত জল পান করে অনেকেই অসুস্থ হচ্ছেন। সবথেকে বেশি চর্মরোগের মতো অসুখ হচ্ছে। সেখানকার আর এক বাসিন্দা রৌশনা বিবি বলেন, বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে সাবমার্সিবল থেকে জল আসে না। একই বক্তব্য হেনা বিবিরও। বলেন, বাড়িতে ৬০ ফুট লেয়ারে নলকূপ বসানো হয়েছে। সেই জল পান করার যোগ্য না। কাপড় কাচা ও অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিধায়ক নীহাররঞ্জন বলেন, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের মন্ত্রীর হাতে আবেদন জমা করেছি। আশা করছি, দ্রুত এলাকায় পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ হবে।