সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: মাথাভাঙা-২ ব্লকের বড় শৌলমারি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে ফের তালা লাগানোর ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবারের পর বুধবারও এলাকায় চাপা উত্তেজনা থাকে। সকালে বিজেপি কর্মীরা জমায়েত হন। অপরদিকে, খবর পেয়ে বেশকিছু তৃণমূল কর্মীও জড়ো হন। যদিও বিজেপি কর্মীরা ঘোকসাডাঙা থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে চলে যাওয়ায় নতুন করে কোনও অশান্তি হয়নি।
বিজেপির দাবি, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের লোকজনের লাগানো তালা এখনও পঞ্চায়েত অফিসে রয়েছে। ঘোকসাডাঙা থানার পুলিসকে জানানো হয়েছে। পুলিস ব্যবস্থা না নিলে টানা আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি। যদিও তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, প্রধান যতদিন পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে উন্নয়নমূলক কাজ করতে রাজি হবেন না, ততদিন তালা খুলে দেওয়া হবে না।
বিজেপির ১ নম্বর মণ্ডল সভাপতি প্রশান্ত বর্মন বলেন, বড় শৌলমারি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে মঙ্গলবার সকালে তালা লাগায় তৃণমূলের লোকজন। প্রধান সেই তালা ভেঙে অফিসে ঢুকে সাধারণ মানুষের প্রয়োজনীয় কাজকর্ম করেছেন। প্রধান বেরিয়ে যাওয়ার পর ফের ওরা তালা লাগিয়েছে। এদিন আমরা সেই বিষয়টি ঘোকসাডাঙা থানার ওসি’কে জানাই। উনি তালা খুলে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। পুলিস যদি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে আমরা টানা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
যদিও তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা মাথাভাঙা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাবলু বর্মন বলেন, বড় শৌলমারিতে বিজেপির যে কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছেন তাঁদের নিয়েই চলেন প্রধান। এলাকার উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজের ব্যাপার আমাদের কিছুই জানানো হয় না। এনিয়ে পঞ্চায়েত সদস্যরা তালা লাগিয়েছেন। বিজেপি সব জায়গায় রাজনীতি করছে। আসলে ওদের পায়ের তলার মাটি সরে যেতে এধরনের আবোলতাবোল অভিযোগ তুলছে। যদিও প্রধান জয়ন্ত দে বলেন, তৃণমূল স্থির করেছে কাজ করতে দেবে না। তাই অস্থিরতা তৈরি করছে।
ঘোকসাডাঙা থানার ওসি কাজল দাস বলেন, বড় শৌলমারিতে মঙ্গলবার ঝামেলা হয়েছিল। এদিন এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পঞ্চায়েত অফিসে তালা লাগানো রয়েছে কি না আমরা সেটা দেখছি। নিজস্ব চিত্র।