নেই ভোট-উত্তাপ, দিনভর ব্যস্ততার চেনা ছবিই ধরা পড়ল উল্টোডাঙায়
বর্তমান | ১১ জুলাই ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সকাল ৮টা বেজে ১৩ মিনিট। বিধাননগর স্টেশনে ঢুকছে শিয়ালদহগামী ডাউন ট্রেন। কাতারে কাতারে মানুষ নেমে ছুটছেন বাস, অটো ধরতে। স্টেশন সংলগ্ন অটোস্ট্যান্ড যাত্রীদের ভিড় আর চালকদের হাঁকডাকে জমজমাট। খানিকটা এগলে উল্টোডাঙা ফুট ওভারব্রিজ, হাডকো মোড়—সর্বত্রই কাজের দিনের চেনা ভিড়। কে বলবে, ভোট চলছে এই এলাকায়! বুধবার ছিল মানিকতলা বিধানসভার উপ নির্বাচন। এই বিধানসভার অন্তর্গত উল্টোডাঙা স্টেশন চত্বরে ভোটের কোনও প্রভাব ছিল না বললেই চলে। মানিকতলার অন্যত্রও কর্মব্যস্ততার পরিচিত দৃশ্য সামনে এসেছে। সপ্তাহের মাঝখানে একটি কর্মব্যস্ত দিনে কেন ভোট করা হল, তা নিয়ে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।
এদিন সকাল থেকে কখনওই সেভাবে ভোটের উত্তাপ টের পাওয়া যায়নি। উপ নির্বাচন বলে এমনিতেই মানুষের আগ্রহ ছিল অনেক কম। ভোট দেওয়ার জন্য বুথমুখী হওয়ার থেকে মানুষ বেশি প্রাধান্য দিয়েছে নিজের কর্মস্থলে হাজিরা দিতে। কাঁকুড়গাছি মোড়ে দাঁড়িয়ে দীপ্সিতা মুখোপাধ্যায় বললেন, ‘সল্টলেকের একটি আইটি কোম্পানিতে কাজ করি। সময়ে অফিস পৌঁছতেই হবে। সব মিলিয়ে ভোট দিতে যাওয়ার আগ্রহটাই তৈরি হয়নি। সকালেই কাজে বেরিয়ে পড়েছি।’ তাঁর পাশে দাঁড়ানো সঞ্জয় সরকার জানালেন, তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করি। আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে পৌঁছনো। তাছাড়া, ভোট দিতেই হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতাও তো নেই।’
ভোটের দিন হলেও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উত্তর কলকাতা ও সংলগ্ন শহরতলি আর পাঁচটা কাজের দিনের মতোই কর্মব্যস্ত ছিল। নির্বাচনের কোনও ছাপই পড়েনি এসব অঞ্চলে। এই প্রেক্ষিতে আম জনতার একাংশের বক্তব্য, পরবর্তী সময়ে ভোটের দিন নির্ধারণের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন আরও একটু ভাবনাচিন্তা যেন করে। উল্টোডাঙা মোড়ে দাঁড়িয়ে তন্ময় সাহা বলেন, ‘ভোটটা শনি বা রবিবার হলে মানুষ বেশি সংখ্যায় বুথমুখী হতো। কাজের দিনে হলে একটা সমস্যা তো হয়ই। বিশেষ করে আমাদের মতো যাঁরা বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন, তাঁদের কর্মস্থলে যাওয়াটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।’