• মেয়ের আবদার মেটাতে গৃহবধূ ফের ভোটকেন্দ্রে
    বর্তমান | ১১ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বনগাঁ: বুধবার বাগদা বিধানসভার উপ নির্বাচনে সকালেই ভোট দিতে এসেছিলেন হেলেঞ্চার বাসিন্দা শম্পা বিশ্বাস। চার বছরের ছোট্ট মেয়ে সৌমিনীকে নিয়ে ভোট দিতে আসেন তিনি। মায়ের হাতের আঙুলে কালি লাগিয়ে দেন ভোটকর্মীরা। তাই দেখে সৌমিনীর ইচ্ছে হয়, সেও ভোট দেবে। কিন্তু বুথের ভিতরে ভোটকর্মী ও বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিস কাকুদের ভয়ে সেই ইচ্ছের কথা সে প্রকাশ করতে পারেনি। তাই সে মায়ের সঙ্গে বাড়ি ফিরে যায়। বাড়ি ফিরে সৌমিনীর বায়না, ‘মা আমিও ভোট দেব তোমাদের মতো’।


    ছোট্ট সৌমিনীকে বোঝাতে ব্যর্থ হন মা। ‘পুলিস কাকুদের’ ভয় দেখিয়েও মেয়ের কান্না থামাতে পারেননি তিনি। এরপর মেয়েকে নিয়ে ভোটকেন্দ্রে হাজির হন শম্পা দেবী। ভোটকর্মীদের কাছে জানান, মেয়ের বায়নার কথা। আসলে শিশুর কাছে ভোটের অর্থই হল, আঙুলে কালি দেওয়া। সব শুনে ভোটকর্মীরা ছোট্ট মেয়েটির মুখে হাসি ফোটাতে তার আঙুলে কালি লাগিয়ে দেন। অমনি বুথের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে তার গালভরা হাসি। ছোট্ট সৌমিনীর আব্দার মেটাতে পেরে খুশি ভোটকর্মীরা। মেয়ের মুখে হাসি দেখে খুশি সৌমিনীর মা-ও।


    সৌমিনীর যখন প্রায় এক বছর বয়স, তখন করোনায় তার বাবা মারা যান। ছোট্ট মেয়েকে মানুষ করে তুলছেন শম্পা দেবী। এদিন মেয়ের অদ্ভুত আব্দারে কিছুটা চিন্তায় পড়ে যান তিনি। তবে মেয়ের সেই আব্দার মেটাতে পেরে খুশি তিনি। সৌমিনী বড় হয়ে সেনাবাহিনীর জওয়ান হতে চায়। এদিন ভোটকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক জওয়ানকে দেখে এগিয়ে যায় সে। হাত মেলায় তাঁর সঙ্গে। একসঙ্গে ছবিও তোলে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে দারুণ খুশি ছোট্ট সৌমিনী।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)