• পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা ব্যয়ের নিরিখে শীর্ষে জগদীশপুর
    বর্তমান | ১১ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: ভোটের সময় প্রায় আড়াই মাস স্তব্ধ ছিল উন্নয়নের কাজ। নির্বাচন প্রক্রিয়া মিটতেই থমকে যাওয়া সেই কাজে গতি আনার চেষ্টা করছে প্রশাসন। এই পরিস্থিতির মধ্যেও বালি-জগাছা ব্লকে অর্থ কমিশনের ৫৪ শতাংশ টাকা খরচ করতে সক্ষম হয়েছে জগদীশপুর পঞ্চায়েত। অন্যদিকে, এই তালিকায় ধুঁকছে দুর্গাপুর-অভয়নগর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত। 


    ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে হাওড়া জেলায় পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ টাকা খরচ হয়েছে ৩১ শতাংশ। অর্থবর্ষ শুরুর সময় বালি-জগাছা ব্লকে পঞ্চায়েত সমিতির ভাঁড়ারে ছিল ১ কোটি ২১ লক্ষ টাকা। এই ব্লকে উন্নয়নের কাজে খরচ হয়েছে ৩১ শতাংশ টাকা। আরও ছ’টি প্রকল্পের কাজ টেন্ডারের পথে। ফলে মাসখানেকের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ টাকা খরচ হবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। আড়াই মাস ধরে নির্বাচনের জন্য উন্নয়নের কাজ থমকে থাকলেও, ৩১ শতাংশ খরচ কম নয় বলেই মত ব্লকের কর্তাদের।


    একইভাবে ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে সব পঞ্চায়েতকেও পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা দেওয়া হয়েছিল। এই টাকা খরচের নিরিখে বালি-জগাছা ব্লকে শীর্ষে জগদীশপুর পঞ্চায়েত। ব্লক স্তরের হিসেব বলছে, অর্থবর্ষ শুরুর সময় জগদীশপুর পঞ্চায়েতের হাতে ছিল ৪০ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা। বর্তমানে তার ৫৪ শতাংশই উন্নয়নমূলক কাজে খরচ হয়েছে তারা। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা ঢালাই, নিকাশি এবং আলো সহ অন্যান্য কাজে ব্যয় হয়েছে টায়েড এবং আনটাইড ফান্ডের এই টাকা। এদিকে, জগদীশপুর পঞ্চায়েত যখন ৫৪ শতাংশ টাকা খরচ করেছে, তখন খরচের নিরিখে শত যোজন দূরে বালির দুর্গাপুর-অভয়নগর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত। তথ্য বলছে, এই পঞ্চায়েত ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষ শুরু করেছিল ৩০ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা দিয়ে। সেই টাকার মাত্র ১৬.৭৮ শতাংশ খরচ করতে পেরেছে তারা। উন্নয়নের টাকা খরচ করতে না পারায় দুর্গাপুর-অভয়নগর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান সুতপা বসু বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি নতুন টেন্ডার করেছি। বেশ কিছু জায়গায় ওয়াটার এটিএম, রাস্তার কাজে বরাদ্দ করা হয়েছে। ফলে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই টাকা খরচের নিরিখে আমরা বাকি পঞ্চায়েতগুলিকে ছুঁয়ে ফেলব। প্রসঙ্গত, রাজ্য উন্নয়নের কাজে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও টাকা খরচ ও কাজে গতি আসবে বলে আশাবাদী প্রশাসনের কর্তারা।
  • Link to this news (বর্তমান)