দক্ষিণবঙ্গে ফের বাড়বে বৃষ্টি, উত্তরে চলবে দুর্যোগ, জানুন আবহাওয়ার খবর
এই সময় | ১১ জুলাই ২০২৪
ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়ছে দক্ষিণবঙ্গে। এমনটাই পূর্বাভাস দিচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই বর্ষণের সম্ভাবনা বাড়ছে। বৃষ্টি হতে পারে কলকাতাতেও। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে হতে পারে আরও ভারী বৃষ্টিপাত।দক্ষিণবঙ্গে ফের বাড়তে পারে বৃষ্টিআলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে মৌসুমী অক্ষরেখা রাজস্থান থেকে শুরু হয়ে জয়সলমির, কোটা, শিবপুরি, ডালটনগঞ্জ, পুরুলিয়া হয়ে কাঁথি পর্যন্ত বিস্তৃত। এছাড়া বিস্তৃত দক্ষিণ পূর্ব দিকে মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত। এদিকে উত্তরপ্রদেশ থেকে অসম পর্যন্ত আরও একটি অক্ষরেখা রয়েছে যেটি বিহার এবং উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে গিয়েছে। এক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে। হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত।
কলকাতায় বর্ষণের পূর্বাভাসহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার আংশিক মেঘলা থাকবে শহর কলকাতার আকাশ। কিছু এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিও হতে পারে। এদিন কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৪.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২.১ ডিগ্রি বেশি। পাশাপাশি দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২.৩ ডিগ্রি বেশি।
উত্তরে দুর্যোগ চলবেএদিকে উত্তরে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে বৃষ্টির পরিমাণ ও ব্যাপকতা আরও বাড়তে পারে উত্তরবঙ্গে। ভারী থেকে অতি ভারী এবং কোথাও কোথাও প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা জারি থাকছে। এক্ষেত্রে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলায়। হাওয়া অফিস বলছে বৃহস্পতিবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকছে আলিপুরদুয়ারে। পাশাপাশি দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলাতেও হতে পারে অতি ভারী বৃষ্টিপাত। শুক্রবারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকছে দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলায়। পাশাপাশি কোচবিহার ও কালিম্পঙেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর শনিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং আলিপুরদুয়ার কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
এক্ষেত্রে লাগাতার বৃষ্টিতে পার্বত্য এলাকায় নামতে পারে ধস। পাশাপাশি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে। একইসঙ্গে বাড়তে পারে নদীর জলস্তর বাড়তে পারে। নীচু এলাকাগুলি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কাও থাকছে। ভারী বৃষ্টিতে কমে যেতে পারে দৃশ্যমানতা। একইসঙ্গে জমির ফসলেরও ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা থাকছে।