• মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারিতে কমল আলু ও সব্জির পাইকারি দাম, খুচরো বাজারে প্রভাব শীঘ্রই  
    বর্তমান | ১১ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মঙ্গলবার নবান্নের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পর পাইকারি বাজারে আলুর দাম কেজি প্রতি এক টাকার মতো কমেছে। সরকারি টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের দাবি, অন্যান্য সব্জির দামও পাইকারি বাজারে কিছুটা কমেছে। খুচরো বাজারে এই দাম কমার প্রভাব পড়তে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে। টাস্ক ফোর্স ও পুলিসের এনফোর্সমেন্ট শাখার আধিকারিকরা বুধবার শহরের বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করে দামের খোঁজখবর নেন। এই প্রক্রিয়া নিয়মিত চলবে। টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা মনে করছেন, কম হলেও বৃষ্টি কিছুটা হচ্ছে। ফলে জলের প্রচণ্ড অভাবে সব্জির চাষ যেভাবে মার খাচ্ছিল সেরকম পরিস্থিতি আর নেই। বাজারে জোগান ইতিমধ্যেই কিছুটা বেড়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে জোগান আরও বাড়বে। এর ফলে দামও কমবে। তবে পাইকারি বাজারে দাম হ্রাসের প্রভাব খুচরো বাজারে কতটা এবং কবে পড়বে, সেটাই এখন দেখার ব্যাপার। এটার উপর নজরদারি দরকার। মঙ্গলবার নবান্নের বৈঠকে মুনাফাবাজি, মজুতদারি করে সব্জির দাম বৃদ্ধির করার ব্যাপারে তীব্র হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন খুচরো বাজারে দামের মধ্যে এত পার্থক্য হচ্ছে কেন, সেই প্রশ্ন তিনি তুলেছিলেন। পুলিস ও টাস্ক ফোর্সকে এই বিষয়টি নজরদারি করার নির্দেশ দেন তিনি। 


    প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সংগঠনের সভাপতি লালু মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ভালো মানের জ্যোতি আলুর পাইকারি দাম এদিন ছিল ২৭ টাকা। মঙ্গলবারের তুলনায় দাম কেজিতে এক টাকা কমেছে। তাঁর বক্তব্য, পাইকারি বাজারে আগেও যা দাম ছিল তাতে কলকাতার খুচরো বাজারে ৩৫ টাকা কেজি দরে জ্যোতি আলু বিক্রি হওয়ার কথা নয়। টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে জানান, কলকাতার পাইকারি বাজারে আলুর দাম কেজিতে এক টাকা কমেছে। জ্যোতি আলুর দাম খুচরো বাজারে অবশ্যই ৩৫ টাকার কম হওয়া উচিত। 


    গ্রামের গোলায় সংরক্ষিত পেঁয়াজ শহরের বাজারে এনে বেচার জন্য উদ্যোগী হতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নাসিকের পেঁয়াজের উপর নির্ভরতা কমিয়ে দাম কমানো যাবে বলে মনে করেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে বুধবার হর্টিকালচার দপ্তরের আধিকারিকরা বৈঠকে বসেন। সরকারি সূত্রের খবর, এক্ষেত্রে সমস্যা এটাই যে সরকারি ভর্তুকি নিয়ে রাজ্যে হাজার চারেক পেঁয়াজ গোলা তৈরি হলেও সেগুলি ব্যক্তি মালিকানাধীন। মূলত বড় চাষিরাই সেগুলির মালিক। সংরক্ষিত পেঁয়াজ চাষিরা কবে বাজারে ছাড়বেন, সেটা তাঁদের ইচ্ছার উপরই নির্ভর করছে। 


    এদিকে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা বুধবার রায়নার একটি হিমঘরে সংরক্ষিত ৯৭ হাজার বস্তা আলু ৫০ দিনের মধ্যে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন। এর জন্য স্থানীয় পুলিসকে সাহায্য করতে হবে। হিমঘর মালিক ও আলু মজুতকারীদের মধ্যে বিবাদের জেরে ওই আলু বছর দুই ধরে আটকে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আলু নষ্ট হওয়ার জন্য মজুতকারীরা ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন হিমঘর মালিকের কাছে। এনিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টানাপোড়েন চলছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)