• হুগলি থেকে বর্ধমানে মাওবাদী অর্ণব, কুণাল-ব্রাত্য-অখিল যোগে পিএইচডি সমাধান...
    আজকাল | ১১ জুলাই ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: সমস্যা মুক্ত হলেন অর্ণব দাম। ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করতে আর বাধা রইল না তাঁর। পড়াশোনার সুবিধার জন্য রাজ্য কারাদপ্তর তাঁকে হুগলি জেলার সংশোধনাগার থেকে বর্ধমান জেলার সংশোধনাগারে পাঠিয়ে দিচ্ছে। যেখান থেকেই সে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করতে যাবেন। এবিষয়ে রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, 'বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের কাছে অর্ণব সম্পর্কে তিনটি বিষয় জানতে চেয়েছিল। প্রথমটি হল, তাঁর পিএইচডি করা নিয়ে আমাদের কোনও আপত্তি আছে কিনা।

    দ্বিতীয়টি হল তাঁকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে যে 'কোর্স ওয়ার্ক' করতে হবে সেই সময় তাঁর নিরাপত্তার ব্যবস্থা কী হবে সেটা এবং তৃতীয়টি হল অর্ণবের যাবজ্জীবন সাজা নিয়ে আদালতের যে নির্দেশ আছে সেই অর্ডারটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানতে চেয়েছিলেন। আমরা সব কিছুই তাঁদের লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছি এবং তাঁর যাতে পিএইচডি করতে কোনও অসুবিধা না হয় সেজন্য অর্ণবকে বর্ধমান সংশোধনাগারে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।' 

    ইতিমধ্যেই নিজের ফেসবুক সাইটে অর্ণবের পিএইচডি করার স্বপক্ষে সওয়াল করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন অর্ণব যেহেতু নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন তাই তাঁকে পিএইচডি করতে দিতে হবে। এবিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ও কারামন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন কুণাল।

     মেধাবী ছাত্র অর্ণব মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। দলে তাঁর নাম 'বিক্রম'। ২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শিলদায় ইএফআর ক্যাম্পে হানার ঘটনায় তিনি ছিলেন মূল অভিযুক্ত। পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়। কিন্তু জেলে থেকেই সে লেখাপড়া চালিয়ে যায় এবং ইতিহাস নিয়ে গবেষণার জন্য বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিক্ষাও দেয়। কিন্তু পরীক্ষায় প্রথম হলেও তাঁর ভর্তি হওয়া হয়নি। গত সোমবার কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করে জানিয়ে দেয় ভর্তি প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রশ্ন ওঠে, 'মাওবাদী' তকমা থাকাটাই কি তাঁর গবেষণার পথে বাধা? শেষ পর্যন্ত বের হল সমাধান সূত্র।
  • Link to this news (আজকাল)