• মুখ্যমন্ত্রীর টাস্কফোর্স গঠনের ফল হাতেনাতে, কমল সবজির দাম; রইল লেটেস্ট তালিকা?
    আজ তক | ১১ জুলাই ২০২৪
  • বাজারে সবজির দামে যেন আগুন লেগেছিল। সবজি কিনতে গিয়ে কার্যত পকেট ফাঁকা করে বাড়ি ফিরতে হচ্ছিল অনেককে। মধ্যবিত্তের এই অবস্থা নিয়ে চিন্তাব্যক্ত করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি সপ্তাহেই তিনি কড়া নির্দেশ দেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে যেন সব্জির দাম কমানেো হয়। এমনকী তিনি টাস্কফোর্সও গঠন করেন। সাফ জানিয়ে দেন, সবজির দাম নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে। 

    এদিকে টাস্কফোর্স গঠনের পরই তৎপর হয়ে ওঠে প্রশাসন। কলকাতা-সহ জেলায় জেলার সব্জি বাজারগুলোতে হানা দেয় টাস্ক ফোর্স। সব্জির দাম কেন বেশি নেওয়া হচ্ছে, গুদাম ঘরে কোন সবজি কী অবস্থায় রয়েছে এসব জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রশাসনের তৎপরতা দেখে নড়েচড়ে বসে পাইকারি ও খুচরো ব্যবসায়ী সহ সব্জি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত লোকজন। তারপরই সব্জির দামে বদল আসে ও কমতে শুরু করে। 

    কলকাতার মানিকতলা, বালিগঞ্জ, গড়িয়াহাট, যদুবাবুর বাজারে যান টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। সেখানে বিক্রেতাদের সঙ্গে রীতিমতো তর্ক করেন। সাফ জানিয়ে দেন দাম কমাতে হবে। বেশি নেওয়া চলবে না। আলু, পেঁয়াজ, পটলের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির দাম নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দেয় টাস্কফোর্স। কৃষি বিপনণ কেন্দ্র, ক্রেতা সুরক্ষা দফতরেও অভিযান চালানো হয় টাস্ক ফোর্সের তরফে। 

    বুধবার পর্যন্ত সবজির বাজারগুলোতে সেভাবে টাস্কফোর্সের প্রভাব না পড়লেও বৃহস্পতিবার থেকে সুফল দেখা যায়। কলকাতার শিয়ালদা বাজার, মানিকতলা বাজার, যদুবাবার বাজার, বালিগঞ্জ বাজারের মতো জায়গাতে সব্জির দাম অনেকটাই কমে যায়। 

    চলতি সপ্তাহের সোম, মঙ্গল বা বুধবার কলকাতার বিভিন্ন বাজারে বেগুন, টমেটো, লাও, শাক, উচ্ছের দাম ছিল আকাশছোঁয়া। সেই সব সবজির দাম কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে। 

    যেমন আলুর দাম ছিল ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা কেজি। সেই আলু এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে।  পটলের দাম ছিল ৪০ টাকা কেজি দরে। তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। বেগুনের দাম ছিল ২০০ টাকা কেজি। সেই বেগুন এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি। শশা ছিল ৬০ টাকা কেজি, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। তবে ধনেপাতা, শাক, পেঁপে, ভেন্ডির দাম প্রায় একই আছে। আবার কলকাতার বড় বড় বাজারগুলোতে দাম কিছুটা সস্তা হলেও যাদবপুর, গড়িয়াহাট, বাঘাযতীন, কসবার মতো বাজারগুলোতে দামের তেমন হেরফের হয়নি। খুচরো বিক্রেতারা একই দাম নিচ্ছেন। 

    তাঁদের দাবি, দেরিতে বর্ষা ঢোকার কারণে এবং বৃষ্টিপাতের ঘাটতির জন‍্য সব্জি উৎপাদন প্রভাবিত হয়েছে। তাই তাঁদের পাইকারি বাজার থেকে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে। 
  • Link to this news (আজ তক)