• অতিবৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে তরাই-ডুয়ার্সের বহু চা-বাগান, চরম ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা...
    ২৪ ঘন্টা | ১১ জুলাই ২০২৪
  • প্রদ্যুত দাস: উত্তরে বৃষ্টি অব্যাহত।এনএইচ ৩১ জলঢাকা নদীর পাশাপাশি তিস্তার মেখলিগঞ্জ বাংলাদেশ বর্ডার পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় বৃহস্পতিবারও জারি রয়েছে লাল সর্তকতা।পাশাপাশি জলঢাকা নদীতে সংরক্ষিত এলাকায়ও রয়েছে লাল সর্তকতা। লাগাতার ভারী বৃষ্টির জেরে বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গ! ভাটা পড়ছে বিখ্যাত তিন কুড়ি চা পাতায়। চিন্তায় কপালে ভাঁজ ডুয়ার্সের চা শ্রমিক এবং ম্যানেজারের একাংশের। চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে তরাই ও ডুয়ার্সের চা শিল্প। কি হবে সুস্বাদু চা এর ভবিষ্যৎ?  উঠছে প্রশ্ন। 

    একদিকে ভারী বৃষ্টি তো অপরদিকে বৃহস্পতিবার সকালে তিস্তা দোমোহানিতে অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা রয়েছে বলে জানায় সেন্ট্রাল ফ্ল্যড কন্ট্রোল রুম জলপাইগুড়ি। এদিন গজলডোবা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ কিছুটা কম। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে। একটানা বৃষ্টির জেরে আজও বেশ কিছু এলাকায় জল জমার খবর রয়েছে।  

    এক সময় অনাবৃষ্টির কারণে চা শ্রমিকেরা চিন্তার মুখে পড়েছিলেন। তবে, বৃষ্টি শুরু হতেই খানিক হাসি ফুটেছিল মুখে। ভেবেছিলেন, এবার বুঝি সবুজ গালিচা ভরে যাবে তরতাজা সবুজ তিন কুড়ি চা পাতায়। কিন্তু, বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে উত্তরের আবহাওয়া এ আমূল পরিবর্তনের কারণে একটানা তীব্র দ্রুত এবং অতি বৃষ্টির কারণে সুস্বাদু চায়ের ভাঁটা দেখা দিচ্ছে ক্রমশই। নাগাড়ে বৃষ্টি হওয়ার কারণে নষ্ট হচ্ছে তরাই-ডুয়ার্সের বহু চা বাগান। 

    অনাবৃষ্টির ফলে 'প্রথম ফ্লাশ’-এর চায়ের উৎপাদনও তেমনভাবে পাতা পাওয়া যায় নি। ‘প্রথম ফ্লাশ’-এর পাতার উৎপাদন যে কমতে চলেছে, তা চা-মহল আগেই টের পেয়েছিল। প্রতিটি বাগানেই কমছিল উৎপাদিত পাতার পরিমাণ। মরসুমভিত্তিক উৎপাদনের স্বাদ এবং গন্ধের নিরিখে ‘প্রথম ফ্লাশ’-এর কদর বেশি। আবহাওয়ার খামখেয়ালিতে ‘প্রথম ফ্লাশ’-এর এই ক্ষতি বলে দাবি চা শিল্পের সঙ্গে যুক্তেরা। 

    অন্যদিকে, ‘দ্বিতীয় ফ্লাশ’-এর শুরুটা ভাল হলেও, বর্তমানে উত্তরবঙ্গের চা মহল্লায় নাগাড়ে বৃষ্টি চলছে। অতিরিক্ত বৃষ্টিতে ক্ষতি হচ্ছে চা পাতার। কবে আবহাওয়া স্বাভাবিক হয় আর চা উৎপাদন ভাল হয় সেদিকেই তাকিয়ে ডুয়ার্সের চা বাগান কতৃপক্ষের একাংশ।

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)