• ‘সেই সময় অর্জুন সাংসদ ছিলেন’, আড়িয়াদহ কাণ্ডে মমতার নিশানায় বারাকপুরের ‘বাহুবলী’
    প্রতিদিন | ১১ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আড়িয়াদহের ‘কীর্তিমান’ জয়ন্ত সিংয়ের একের পর এক ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার মুম্বই রওনার আগে প্রথমবার মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা ঘটনায় বারাকপুরের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংকেই দুষলেন তিনি।

    দমদম বিমানবন্দরে ঢোকার আগে তিনি বলেন, “২০২১ সালের ঘটনা নিয়ে ভোট ড্যামেজের জন্য গত ৭২ ঘণ্টা ধরে একই খবর দেখানো হচ্ছে।। সেই সময় অর্জুন সিং সেখানকার সাংসদ ছিলেন। যারা ওই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা এখন জেলে। ২৯ জন গ্রেপ্তার। চোখ নেই, কান নেই। দেখতে পান না? পুলিশের কাছ থেকে তথ্য জানুন। এখন আবেদন জানাচ্ছি। কাজ না হলে আইনি ব্যবস্থা নেব।” যদিও মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং। বলেন, “কামারহাটি বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে না। মিথ্যা দোষারোপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।”

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। সেখানে দেখা যায়, প্রায় আটজন যুবক। জনা চারেক মিলে একজনের হাত পা ধরে চ্যাংদোলা করেছে। সেই অবস্থাতেই ঝুলিয়ে লাঠি জাতীয় কিছু দিয়ে চলে গণপিটুনি। ভিডিওটি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরই বারাকপুর পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্তে নামে। গ্রেপ্তার হন জয়ন্ত সিং। এখানেই শেষ নয়। আড়িয়াদহে নাবালকের উপর নারকীয় অত্যাচারের ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। গ্রেপ্তার হন জয়ন্ত সিংয়ের শাগরেদ লাল্টুও।

    দুধবিক্রেতা থেকে আড়িয়াদহের ‘ত্রাস’ হয়ে ওঠেন জয়ন্ত। আড়িয়াদহের মৌসুমী মোড় থেকে কিছুটা এগিয়ে প্রতাপ রুদ্র লেনে দুটি বাড়ি জয়ন্তর। একটা পুরনো। জনবসতিপূর্ণ এলাকার সেই বাড়িতে চলে ঘাটাল। নতুন যে বিশাল বাড়ি, তা নাকি হয়েছে সরকারি জমির উপর। তোলাবাজি, হুমকি, খুনের চেষ্টা, মারধর-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এলাকায় কেউ জমি কিনলেও মোটা টাকা দিতেই হত জয়ন্তকে। আইন-আদালত কোনও কিছুরই পরোয়া করতেন না তিনি। ফলে নিজের মতো করে সাম্রাজ্য তৈরি করছিলেন। বিহার থেকে ছেলেদের নিয়ে আসতেন কাজে লাগানোর জন্য। জয়ন্তর বাড়বাড়ন্ত নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। তা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
  • Link to this news (প্রতিদিন)