শিল্পন্নোয়ন নিগমকে জমি হস্তান্তর, সৌরভের কারখানা নিয়ে বড় পদক্ষেপ
এই সময় | ১১ জুলাই ২০২৪
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ইস্পাত কারখানার বাস্তব রূপায়ণে বড় পদক্ষেপ। বুধবার প্রয়াগ ফিল্ম সিটির সাড়ে ৩১৮ একর মতো জমি পশ্চিমবঙ্গ শিল্পন্নোয়ন নিগম (WBIDC)-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের একটি সূত্রে খবর। এখানেই গড়ে উঠবে সৌরভ প্রস্তাবিত ইস্পাত কারখানা। পরিত্যক্ত ফিল্ম সিটির একটি অংশে কারখানাটি গড়ে উঠতে চলেছে বলে জেলা প্রশাসনের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।এ বিষয়ে জানতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) সুমন সৌরভ মোহন্তিকে এই সময় ডিজিটালের পক্ষ থেকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘যা বলার তা WBIDC-ই বলবে। আমরা সবভাবে সহযোগিতা করছি, এইটুকু বলতে পারি।’ গড়বেতা-৩ ব্লকের বিডিও দীপাঞ্জন ভট্টাচার্যর-র সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে যা করার আমরা করছি। এই নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে কিছু বলার নেই।’ WBIDC-র এমডি রোশনি সেনকে হোয়াটসঅ্যাপ করা হলেও কোনও জবাব মেলেনি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সৌরভ শালবনিতে কারখানা গড়ার ঘোষণা করলেও বিশেষ কারণে স্থান বদল হয়। গড়বেতা-৩ ব্লকের নয়াবসত গ্রাম পঞ্চায়েতের (ডুকি) প্রয়াগ ফিল্প সিটির জমিতে কারখানাটি হতে পারে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে বেশ কয়েকদিন ধরে কানাঘুষো চলছিল। সংশ্লিষ্ট এলাকাটি চন্দ্রকোনা রোড নামে পরিচিত। জাতীয় সড়কের ধারেই এই ফিল্ম সিটি। জানা গিয়েছে, জায়গাটি ‘জবরদখল’ সংক্রান্ত কিছু জটিলতা ছিল। প্রশাসন বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে সমস্ত জট কাটিয়ে ৩১৮ একর জমি রাজ্য শিল্পন্নোয়ন নিগমের হাতে তুলে দেয়।
এরপর ২৫০ একর মতো জমি ‘সৌরভের সংস্থা’-র হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। যদিও জমির পরিমাণ আরও কিছু বাড়তে পারে। উল্লেখ্য, ক্যাপ্টেন স্টিলের সঙ্গে বহুদিন ধরে যুক্ত আছেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক। তিনি গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ক্যাপ্টেন টিএমটি বার-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর তিনি। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘আমরা জট কাটিয়ে জমি শিল্প দফতরকে দিলাম। তারাই বাকি কাজ করবে।’
জুন মাসের শেষে ‘এই সময়’-কে সৌরভ জানান, তাঁর কারখানাটি গড়বেতায় তৈরি হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্রের জন্য ইতিমধ্যেই আবেদন করা হয়েছে। বছর দেড়েকের মধ্যে কারখানার নির্মাণ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছি। মোট ৩,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে।’
এদিকে এই খবরে খুশি স্থানীয়রা। এলাকাবাসীদের কাজের সুযোগ মিলবে বলে আশা। স্থানীয় বাসিন্দা তপন পান, নবীন সরকাররা বলছেন, ‘বুধবার ওখানে বহু মানুষকে আসতে দেখেছি। মনে হচ্ছে, সরকারের লোক। এলাকায় শিল্প হলে তো আমাদেরও কিছু কাজ হবে।’ তাঁদের কথা শুনে শালবনির এক শিক্ষক হতাশার সুরে বললেন, 'বেটার লেট দ্যান নেভার...!'