আমজনতাকে স্বস্তি দিতে উদ্যোগ, প্রায় হাফ দামে সবজি মিলছে পূর্ব বর্ধমানে
এই সময় | ১১ জুলাই ২০২৪
বাজারে সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে টাস্ক ফোর্স। পাশাপাশি বিভিন্ন জেলাতেও ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক কর্তারা বাজারগুলিতে হানা দিচ্ছেন। এরই মাঝে জনসাধারণের মধ্যে সুলভ মূল্যে সবজি বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু করল পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ। জেলা শাসক কে রাধিকা আইয়ার ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার নিজে হাতে সবজি বিক্রি করলেন ক্রেতাদের।মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মধ্যে অন্যতম সবজি। আর সেই সবজির দামই বাজারের আকাশ ছোঁয়া। সবজির দাম এতটাই বেশি যে, তা কিনতে কার্যত নাভিঃশ্বাস উঠছে আমজনতার। সবজির বর্ধিত দাম নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ইতিমধ্যে নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর থেকেই বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালাচ্ছে টাস্ক ফোর্স। এই পরিস্থিতে মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতেই সুলভ মূল্যে সবজি নিয়ে এগিয়ে এল পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ। বাজারের তুলনায় কার্যত অর্ধেক দামে সবজি কেনার সুযোগ পান ক্রেতারা। আগামী আরও কয়েকদিন এই উদ্যোগ চলবে বলেই জানা যাচ্ছে। বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চের সামনেই খোলা হয়েছে সুলভ মূল্যে সবজি বিক্রির ক্যাম্প। সাধারণ মানুষের জ্ঞাতার্থে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে চলছে মাইকিংও।
এই প্রসঙ্গে জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ার বলেন, 'বৃষ্টির জন্য আলুর পাশাপাশি অন্যান্য সবজির অনেক ক্ষতি হয়েছে। দামও অনেক বেড়েছে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে দ্রবমূল্য কম হয়। আমরা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে মিটিং করেছি। বাজারেও অভিযান চালাচ্ছি। কেউ কোনও বেআইনি কাজ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
এদিকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার বলেন, 'বাজার মূল্য ঠিক করার জন্য ইতিমধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অভিযান চলছে। তার মধ্যে কিছু অসাধু লোক এই বাজার মূল্য বাড়ানোর চেষ্টা করছে। তাদেরকে খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' পাশাপাশি তিনি আরও জানান সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করেই এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামীদিনেও এই কর্মসূচি চলবে। অন্যদিকে বাজার করতে আসা ক্রেতাদের দাবি, দ্রুত বাজারমূল্য কমানোর ব্যবস্থা নিক প্রশাসন।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের বুধবার থেকে ময়দানে নেমেছেন খোদ টাস্ক ফোর্সের প্রধান রবীন্দ্রনাথ কোলে। বৃহস্পতিবার মানিকতলা বাজারে রীতিমতো হুঁশিয়ারি সুরে ব্যবসায়ীদের বাড়তি দাম কমানোর নির্দেশ দেন তিনি। নয়তো হাজতবাস পর্যন্ত হতে পারে, এমন কথাও শোনা যায় তাঁর মুখে।