একেবারে সাদামাটা চেহারা। মাথায় আবার ঘোমটা টানা। সেই নাকি হাওড়ার ডোমজুড়ে সোনার দোকানে ডাকাতির 'মাস্টারমাইন্ড'! বিহার থেকে আশা মাহাতো ওরফে 'চাচি'-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে বৃহস্পতিবার বাংলায় নিয়ে আশা হয়। হাওড়া জেলা হাসপাতালে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর আদালতে তোলা হয়। পুলিশ জানাচ্ছে, ডোমজুড়ে ডাকাতির ঘটনার নেপথ্যে অন্যতম হাত রয়েছে আশার। তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে পুলিশ।উল্লেখ্য, গত ১১ জুন হাওড়ার ডোমজুড়ে একটি সোনার দোকানে ডাকাতি হয়। মালিক সহ দোকানের কর্মীদের হাত পা বেঁধে চলে ডাকাতি। দোকান থেকে বিপুল সোনা লুঠ করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ঘটনার তদন্তে নামে হাওড়া সিটি পুলিশ। এই ঘটনার তদন্তে নেমে ভিন রাজ্যের যোগ উঠে আসে। বিহার থেকে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের মধ্যেই ছিল আশা ওরফে চাচি।
জানা গিয়েছে, সে বিহারের সমস্তিপুর এলাকার বাসিন্দা। আশা মাহাতো একসময় কুখ্যাত অপরাধী সুবোধ সিংয়ের হয়ে কাজ করত। এই দলের মূল পাণ্ডা ছিল মণীশ মাহাতো ওরফে মুনিয়া। তাকে চাচি ওরফে আশা নিজের গ্যাং তৈরি করতে বলে। সেই মতো নিজের গ্যাং তৈরি করে মুনিয়া। এরপর চাচির ক্ষুরধার বুদ্ধিতে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে থাকে মুনিয়া এবং তার দলবদল। তাদের সাহায্য করত চাচি।
হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠি জানান, ডোমজুড়ে ডাকাতির ঘটনার আগে আসানসোলে ঘর ভাড়া নিয়েছিল চাচি। এই গোটা 'অপারেশন'-এর জন্য সে দুটি সেকেন্ড হ্যান্ড বাইকও কিনে দেয়। স্থানীয় সোনার দোকানে লুঠ হওয়া গয়না বিক্রির ব্যবস্থা করেছিল সে। জানা গিয়েছে, ডাকাতির জন্য বিভিন্ন জিনিসপত্রের সাপ্লাই দিত এই চাচি।
সোনার দোকানে ডাকাতি করার আগে মে মাস থেকে ডোমজুরের অঙ্কুরহাটি এলাকায় চলে আসে ওই দুষ্কৃতীরা। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে ওই সোনার দোকান রেইকি করে তারা। শুধু তাই নয়, ভেতরের পরিস্থিতি দেখার জন্য ওই দোকানেই ক্রেতা সেজে এসেছিল চাচি। পুলিশ কমিশনার জানান, ইতিমধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চাচিকে যাতে হেফাজতে নেওয়া যায় সেই জন্য আবেদন করা হবে। আরও চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত কিনা, খোয়া যাওয়া গয়নাই বা কোথায়? তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।