আড়িয়াদহকাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। এরই মাঝে এবার নাম না করে সেই বিষয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত উপনির্বাচন 'ড্যামেজ' করার জন্যই ৭২ ঘণ্টা ঘরে ২০২১ সালের এই ঘটনা সম্প্রচার করা হয়েছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনায় বিজেপি নেতা অর্জুন সিংকেও নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মুকেশ আম্বানির ছেলে অনন্ত আম্বানির বিয়েতে যোগ দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার দিল্লি উড়ে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার আগে বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের একাংশকে নিশানা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'নির্বাচন ড্যামেজ করার জন্য গত ৭২ ঘণ্টা ধরে একতরফা ভাবে একই খবর দেখান হয়েছে।' এক্ষেত্রে নবান্ন বা পুলিশের কাছ থেকে আসল ঘটনা 'ক্রস চেক' করে নেওয়ার পরামর্শও দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির কথাতেই সংবাদমাধ্যমের একাংশ এমন কাজ করেছে বলেও অভিযোগ মমতার। উল্লেখ্য, সম্প্রতি আড়িয়াদহর যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, তাতে বেশকয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে এই ঘটনায় এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, ভিডিয়ো পোস্ট করার জন্য পৃত্থিরাজ মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। তবে তদন্তের স্বার্থে মামলাকারীকে পুলিশকে সাহায্য করতে হবে। মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, 'তালিবানি কায়দায় মহিলাকে মারা হয়েছে। সেই ছবি তিন বছর পর পোস্ট হয়। তার জেরে পুলিশ নিজে থেকে FIR করেছে জয়ন্ত সিং ও তার দলবলের বিরুদ্ধে।ট এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, 'কে ভিডিয়ো তুলেছেন?' উত্তরে আইনজীবী বলেন, 'সেটা জানি না। ওই ক্লাবের ছেলেরা হতে পারে। সংবাদমাধ্যমে দেখান হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে দশটায় ডেকে পাঠান হয়। বারেবারে ফোন করা হয়েছে। রাতে নোটিশ দিয়ে বৃহস্পতিবার আসতে বলা হয়। কোনও মামলা রুজু না করে কী ভাবে পুলিশ এটা করতে পারে?'
এদিকে এই বষয়ে রাজ্য বলে, 'যারা মারছিল তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য ডাকা হয়েছে। ২০২১ সালের ঘটনা পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিয়ো যেখানে থেকে প্রকাশ হয়েছে তদন্ত করতে গেলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। ১৬০-এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত করা হয়নি। মামলাকারীদের নাম মূল FIR-এ রাখাও হয়নি।' এর প্রেক্ষিতে বিচারপতির প্রশ্ন, 'একদিনের মধ্যে সিভিক ভল্যান্টিয়ারকে পাঠিয়ে দিলেন?' তার প্রেক্ষিতে রাজ্য জানায়, 'শুধু জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। তদন্তের জন্য নয়। সাক্ষী হিসেবে ফর্মাল নোটিশ।' সমস্ত সওয়াল-জবাব শেষে এই নির্দেশ দেন বিচারপতি