• ভরা আষাঢ়েও দেখা নেই ইলিশের, এক ভোলাতেই কেল্লাফতে সমুদ্রসৈকতের মৎস্যজীবীদের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ জুলাই ২০২৪
  • আষাঢ় মাস শেষ হতে চলেছে। অথচ ইলিশ মাছের দেখা নেই দিঘায়। এক বুক আশা নিয়ে মৎস্যজীবীরা জাল ফেললেও খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে তাঁদের। যদিও সমুদ্রে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা উঠে গিয়েছে ২৫ দিন আগেই। সুতরাং একের পর এক ট্রলার গভীর সমুদ্রে যাচ্ছে মাছ ধরতে। কিন্তু ইলিশ মাছ জালে উঠছেই না। ডায়মন্ডহারবারে মরশুমের শুরুতে ইলিশ মিললেও এখন আর পাওয়া যাচ্ছে না। জুলাই মাসের ১১ তারিখ হয়ে গেলেও মাছের আড়তে সেভাবে দেখা নেই ইলিশের। ইলিশ জালে না ওঠায় তাই চিন্তায় মৎস্যজীবীরা। তবে এবার জালে ধরা পড়ল এক বিশাল সাইজের মাছে। আর তা নিয়ে এখন শোরগোল চরমে উঠেছে।

    আজ, বৃহস্পতিবার দিঘা মোহনার মৎস্য আড়তে উঠে এলো একটি ১১ কেজি ওজনের তেলিয়া ভোলা মাছ। যা কার্যত বিরল দৃশ্য। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ভিড় জমিয়ে দেন মানুষজন। অনেকে মাছের সঙ্গে সেলফি নেন। আর এই একটি তেলিয়া ভোলা মাছ প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা দামে বিক্রি হয়। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। আজ দিঘা মোহনার একটি মৎস্যজীবীদের জালে অন্যান্য মাছের সঙ্গে একটি বড় সাইজের তেলিয়া ভোলা ধরা পড়ে। সেটি দিঘা মোহনায় মৎস্য আড়তে নিলামে ওঠে। ২২ হাজার টাকা কেজি দরে তেলিয়া ভোলা মাছ বিক্রি হয়। এটাকেই অনেকে বলছেন লক্ষ্মীবারে লক্ষ্মীলাভ।


    এই বিশাল সাইজের তেলিয়া ভোলা মাছ দেখে খুশি মৎস্যজীবীরা। কারণ ইলিশ মাছ না পাওয়া গেলেও এটাই বাড়তি আয় দিল। শ্রাবণ মাসে ইলিশ মাছ বেশি করে পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন মৎস্যজীবীরা। এই বিষয়ে দিঘা মোহনার মৎস্য ব্যবসায়ী শ্যামসুন্দর দাস বলেন,‘‌সিজিনের ফসল ইলিশ মাছের তো দেখা নেই। তবে অন্যান্য মাছের সঙ্গে সিজিনে বেশ কয়েকটি তেলিয়া ভোলা ধরা পড়েছে মৎস্যজীবীদের জালে। এই মাছের পটকা ওষুধ তৈরি করার কাজে লাগে এবং মাছটি সুস্বাদু হওয়ায় ভাল দামে বিক্রি হয়। আজ বিশাল এই তেলিয়া ভোলা মাছ ধরা পড়েছে।’‌

    এবার বৃষ্টি কম হওয়ায় ইলিশ মাছ ধরা পড়ছে না। তাই আশা করা হচ্ছে শ্রাবণ মাসে বৃষ্টি বেশি হবে এবং ইলিশ মাছ জালে উঠবে। চলতি বছরে আবহাওয়া খামখেয়ালিপনার সঙ্গে বৃষ্টির দেখা না মেলায় এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে। ফলে সমুদ্রের জল গরম থাকায় ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না বলে মনে করছেন মৎস্যজীবীরা। এমনকী সমুদ্রের জলে লবণ বেশি আছে। তাই আসছে না ইলিশ মাছ। তবে তেলিয়া ভোলা মাছ ধরা পড়ায় সকলে খুশি। কবে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামবে এবং মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়বে?‌ সে আশায় দিন গুণছেন মৎস্যজীবীরা।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)