পুলিশ কাকুরা সারাদিন কী করেন? 'তদন্তে' থানায় একঝাঁক কচিকাঁচা
এই সময় | ১২ জুলাই ২০২৪
পুলিশের নাম শুনলে অনেকেরই মনের মধ্যে কেমন যেন একটা ভয়ের বাতাবরণ তৈরি হয়। আর শিশু হলে তো কথাই নেই। 'পুলিশকাকু'র ভয় প্রায় সমস্ত শিশুর মনেই থাকে। তবে সেই শিশুদেরই এবার দেখা গেল থানায় একপ্রকার দাপিয়ে বেড়াতে। ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানা। সেখানেই দেখা গেল একগুচ্ছ কচিকাঁচাকে। যেন কিছুক্ষণের জন্য থানা চলে গেলে তাদেরই দখলে।একটি বেসরকারি স্কুলের ছোট ছোট শিশুদের দেখা গেল নরেন্দ্রপুর থানায়। আর এইসব শিশুদের জন্য নিজেদের চেয়ার টেবিল ছেড়ে দিলেন থানার আধিকারিকরা। আর সেই চেয়ার টেবিলে বসেই পুলিশ অফিসারদের কাজকর্ম সম্পর্কে জানল শিশুরা। কথাও বলল থানার আধিকারিকদের সঙ্গে। কেউ একটু জড়োসড়ো, তো কেউ আবার সাবলীল। সেই সমস্ত শিশুদের সামলাতে দেখা যায় পুলিশ কর্মীদেরই। সারাদিন ব্যস্ততা ও ডিউটির চাপের মাঝে এ যেন এক অন্যরকম পাওয়া পুলিশ কর্মীদের কাছেও। থানায় বসে পুলিশের কাজকর্ম সম্পর্কে জানতে পেরে ভীষণ খুশি শিশুরাও।
এই বিষয়ে মিতা সাহা ও টুকটুকি হাজরা নামে স্কুলের দুই শিক্ষিকা জানান, বাচ্চাদের সিলেবাসে এই ধরনের একটি বিষয় রয়েছে। তাই শুধু বইয়ের পাতায় পড়ার মধ্যে সীমাবন্ধ না থেকে বাচ্চাদের বিষয়টা প্র্যাকটিক্যালি দেখানোর জন্যই এই উদ্যোগ। এক্ষেত্রে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ কর্মীরা তাঁদের খুবই সহযোগিতা করেছেন বলেও জানান শিক্ষিকারা। একইসঙ্গে বাচাদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাতে পেরে থানার পুলিশ কর্মীদের মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি।
উল্লেখ্য, ছাত্র ছাত্রী তথা সাধারণ মানুষের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে পুলিশের তরফেও বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ দেখা যায়। সম্প্রতি আরামবাগের একটি স্কুলে শিক্ষকের ভূমিকায় যায় পুলিশকে। খাকি পোশাকে ক্লাস নেন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। আর মন দিয়ে সেই ক্লাস করে পড়ুয়ারা। কিছুদিন আগে এমনই চিত্র ধরা পড়ল হুগলির আরামবাগ হাই স্কুলে। হঠাৎ খাকি পোশাকে ক্লাসরুমের ঢুকে পড়েন একদল পুলিশ কর্মী। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ক্লাসরুমের বেঞ্চে পড়ুয়াদের মাঝে গিয়ে বসে পড়েন এক পুলিশ আধিকারিক। স্কুলেক শিক্ষকরাই পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় পড়ুয়াদের। পুলিশ কর্মীদের মধ্যে ছিলেন এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তী ও স্থানীয় থানার আইসি রাকেশ সিং। এরপর তাঁরা ক্লাস নেন পড়ুয়াদের। আর এবার নরেন্দ্রপুর থানায় পৌঁছে গেল কচিকাঁচারা।