• গবেষণায় বাধা, অর্ণব বসলেন অনশনে! বুধবার থেকে জল খেয়ে সময় কাটছে মেধাবী প্রাক্তন মাও নেতার...
    আজকাল | ১২ জুলাই ২০২৪
  • বিভাস ভট্টাচার্য

    পরীক্ষায় প্রথম হওয়া সত্ত্বেও দেওয়া হচ্ছে না গবেষণার সুযোগ। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এই অভিযোগে প্রতিবাদ জানিয়ে সংশোধনাগারের ভেতরেই অনশন শুরু করলেন মাওবাদী নেতা অর্ণব দাম। মাওবাদী স্কোয়াডে যিনি পরিচিত ছিলেন 'বিক্রম' নামে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অর্ণবকে এই মুহূর্তে রাখা হয়েছে হুগলি জেলার সংশোধনাগারে। রাজ্য কারা দপ্তরের একটি সূত্র জানায়, বুধবারই অর্ণব জানিয়েছিলেন তিনি অনশনে বসতে চান।‌ সেই মতো বুধবার থেকে তিনি অনশন শুরু করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

    কারা দপ্তরের ওই সূত্রটি জানায়, অনশনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তাদের পক্ষ থেকে অর্ণবকে বুঝিয়ে বলা হয়েছে তিনি যেন এই রাস্তায় না হাঁটেন। এটাও বলা হয় গবেষণার সুবিধার জন্য তাঁকে বর্ধমান সংশোধনাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু নাছোড় অর্ণব অনশনের রাস্তা থেকে সরে আসেননি। বুধ ও বৃহস্পতিবার তিনি তাঁর সেলের মধ্যেই অনশনে বসেন এবং জল ছাড়া কিছুই তাঁকে খাওয়ানো যায়নি। যদিও ওই সূত্রটির দাবি, যেহেতু অর্ণব জেনেছেন তাঁকে বর্ধমান সংশোধনাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে সেজন্য শুক্রবার থেকেই তিনি স্বাভাবিক খাওয়াদাওয়া করবেন। এটা তাঁর প্রতীকী অনশন। সন্ধ্যা পর্যন্ত অর্ণব শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন বলেই ওই সূত্রটি জানিয়েছে। ইতিহাস নিয়ে গবেষণার জন্য গত ২৬ জুন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারভিউ দেন অর্ণব‌।

    কিন্তু সফলভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার পর ভর্তি হওয়ার ঠিক আগের দিন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভর্তি প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেন। এই সিদ্ধান্তে প্রশ্ন ওঠে, মাওবাদী তকমাটা অর্ণবের গবেষণার ক্ষেত্রে বাধা কিনা? প্রতিবাদে সরব হয় মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর এবং বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। এগিয়ে আসেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও কারামন্ত্রী অখিল গিরির সঙ্গে সমস্যা সমাধানের জন্য কথা বলেন। অবশেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অর্ণবকে পাঠানো হবে বর্ধমান সংশোধনাগারে। সেখান থেকেই তিনি গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন।
  • Link to this news (আজকাল)