• গ্যাসে ভর্তুকি বন্ধের ভয় দেখিয়ে সাইবার প্রতারণা
    বর্তমান | ১২ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: কেওয়াইসি জমা না দিলে বন্ধ হয়ে যাবে গ্যাসের সাবসিডি। এমনই ভয় দেখিয়ে ছিল সাইবার প্রতারকরা। পরে ওটিপি জেনে নিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্টের হেল্পলাইন নম্বর ১৯৩০-এ ফোন করতেই ধরা পড়ল এক প্রতারক। ধৃতের নাম গৌতম মণ্ডল। তার বাড়ি বীরভূম জেলার দুবরাজপুর থানার খয়েরবন এলাকায়। বৃহস্পতিবার তাকে বিষ্ণুপুর মহাকুমা আদালতে তোলা হয়। ওই চক্রের বাকিদের ধরার জন্য পুলিস তাকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানালে বিচারক মঞ্জুর করেন।


    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারণার ঘটনাটি ঘটে ৪ জুলাই। গত ২ তারিখ বিষ্ণুপুরের হিংজুড়ি গ্রামের বাসিন্দা পার্থ মুখোপাধ্যায়কে প্রতারকরা ফোন করে। তাঁকে জানানো হয়, কেওয়াইসি আপডেট না থাকায় গ্যাসের সাবসিডি বন্ধ হয়ে যাবে। সেইমতো পার্থবাবু পরের দিন অর্থাৎ ৩ তারিখ ব্যাঙ্কে গিয়ে তাঁর কেওয়াইসি জমা করেন। ৪ তারিখ পার্থবাবুকে পুনরায় ফোন করে ওটিপি জানতে চায়। পার্থবাবু সেটি সরল মনে বলে দেন। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ২২ হাজার টাকা গায়েব হয়ে যায়। পার্থবাবু সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ব্যাঙ্কের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করেন। অ্যাকাউন্টটি লক করতে বলেন। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ পার্থবাবুকে সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্টের নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন করতে বলেন। সেখানে ফোন করে বিস্তারিত তথ্য পাঠান। এরপর সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্টের তরফে বিষ্ণুপুর থানায় যোগাযোগ করা হয়। যেখান থেকে টাকাটা তোলা হয়েছে সেখানকার ঠিকানাও পুলিসকে দেওয়া হয়। বিষ্ণুপুর থানার পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করে। বীরভূম জেলা পুলিসের সহযোগিতায় অভিযুক্ত গৌতম মণ্ডলকে বীরভূমের খয়েরবন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে। 


    বাঁকুড়া জেলা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, সাইবার প্রতারণার ঘটনা ঘটলে প্রথমেই ১৯৩০ নম্বরে ফোন করে বিস্তারিত তথ্য জানালে পুলিসের পক্ষে তদন্তের কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়। তা না হলে পুলিসের কাছে অভিযোগ জানানোর পর তারা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠায়। তাতে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। প্রতারককে চিহ্নিত করতে বিপাকে পড়তে হয়। এক্ষেত্রে পার্থবাবু দ্রুত ১৯৩০ নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানান। তাই কোন জায়গা থেকে টাকাটা তোলা হয়েছে, তা চিহ্নিত করতে সক্ষম হন। পুলিসকে সেই তথ্য দেওয়ার ফলে তদন্তের কাজ সহজ হয়ে যায়।


    পার্থবাবু বলেন, ব্যাঙ্কে কেওয়াইসি জমা দেওয়ার পর আমাকে ফোন করা হয়। সেই কারণে আমি ভেবেছিলাম, ব্যাঙ্ক থেকেই হয়তো ফোনটা করেছে। সাইবার প্রতারণার ঘটনায় ১৯৩০ নম্বরে ফোন করলে অনেকটাই সুবিধা হয়। একজন ধরা পড়েছে। টাকাটা ফেরত পেলে ভালো হয়।
  • Link to this news (বর্তমান)