সংবাদদাতা, বহরমপুর: বন্ধুকে ফোন করে পাঁচ মিনিটের মধ্যে আসতে বলেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক যুবক। দু’মাস ধরে স্ত্রী ও পুত্রকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। গত মঙ্গলবার মারধর করে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। তারপর থেকেই অবসাদে ভুগছিলেন। মৃত যুবকের নাম গণেশ সরকার (২৩)। বাড়ি বহরমপুর থানার চুনাখালিতে। বহরমপুর থানার পুলিস জানিয়েছে, কোনও অভিযোগ হয়নি। পুলিস তদন্ত করে দেখছে।
জিয়াগঞ্জের সদরঘাট এলাকার বাসিন্দা প্রতিমা সরকারের সঙ্গে বিয়ে হয় পেশায় কাঠের মিস্ত্রি গণেশ সরকারের। দু’মাস আগে পৈত্রিক বাড়ি ছেড়ে পরিবার সহ শ্বশুরবাড়িতে উঠেছিলেন। মৃতের বাবা নবকুমার সরকার বলেন, মঙ্গলবার শ্বশুরবাড়িতে মারধর করায় ছেলে আমার কাছে ফিরে আসে। কিন্তু সেখানে কী হয়েছিল জানিনা। ছেলেও কিছু বলেনি। শরীরের একাধিক কালসিটে দাগ ছিল। নববাবুর দাবি, বুধবার রাতে স্থানীয় একটি কীর্তন অনুষ্ঠানে খিচুরি খেয়ে এসেছি বলে শুতে যায়। মৃতের বন্ধু ইন্দ্রজিৎ সর্দার বলেন, রাত ১২টা ৪৮ মিনিটে আমাকে ফোন করে বলে পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমার বাড়ি আয়। নাহলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করব। ইন্দ্রজিৎবাবু এসে দরজা ভেঙে দেখেন পাখায় কাপড়ের ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। খবর দেওয়া হয় বহরমপুর থানায়।
অন্যদিকে শ্বশুরের অপঘাতে মৃত্যুতে অশরীরী আত্মার আতঙ্কে ভুগছিলেন গৃহবধূ। পরিবারের দাবি, সেই আতঙ্ক থেকেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন গৃহবধূ। মৃতের নাম নিবেদিতা মণ্ডল বারিক (৩২)। বাড়ি নওদা থানার ঝাওবোনা।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামেই পেশায় মুদিখানার ব্যবসায়ী চিন্ময় মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় নিবেদিতাদেবীর। পাঁচ বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। চিন্ময়বাবুর বাবা বাড়ির পাশের বাঁশ বাগানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তারপর থেকেই আতঙ্কে ভুগছিলেন নিবেদিতাদেবী।
হরিহরপাড়ায় পাটখেতে বৃদ্ধার দেহ: হরিহরপাড়ায় এক বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। বুধবার রাতে হরিহরপাড়ার খিদিরপুর এলাকায় একটি পাটজমির ভিতরে দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে পুলিস দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতার নাম গুরুদাসী মণ্ডল(৭৫)। তাঁর বাড়ি হরিহরপাড়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকায়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃদ্ধা কয়েকদিন আগে ভজরামপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে এদিন এই ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের লোক সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁকে বাড়ি ফিরতে না দেখে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তারপর রাতের দিকে জমি থেকে তাঁর দেহের খোঁজ পান পরিজনরা। তবে কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, সে ব্যাপারে পুলিস এখনও ধোঁয়াশায় আছে।