• মানসাই নদীর ভাঙনে আতঙ্ক বাড়ছে ভোজনেরছড়া ও চকিয়ারছড়া গ্রামে
    বর্তমান | ১২ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: মানসাই নদীর ভাঙনে মাথাভাঙা-২ ব্লকের তেকুনিয়া বনাঞ্চলের ভোজনের ছড়া ও চকিয়ার ছড়ার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এলাকার মাটির বাঁধও ভাঙনের কবলে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বনাঞ্চল সহ চাষের জমি নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে বেশ কয়েক বছর ধরে। কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না সেচদপ্তর। 


    মাথাভাঙা-২ ব্লকের নিশিগঞ্জ-২ পঞ্চায়েতের এই অংশে বেশ কয়েকবছর ধরে ভাঙন সমস্যা। সেচদপ্তর জানিয়েছে, বনাঞ্চল ও সংলগ্ন এলাকার ভাঙনের সমস্যা নিয়ে রাজ্যে রিপোর্ট পাঠানো রয়েছে। বরাদ্দ এলেই বাঁধের কাজ করা হবে। বাসিন্দাদের দাবি, আশ্বাস নয় পাথরের পাড়বাঁধ দেওয়া হোক দ্রুত। তবেই রক্ষা পাবে চাষের জমি সহ তেকুনিয়া বনাঞ্চল। তেকুনিয়া বনাঞ্চলের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে ভোজনেরছড়া ও চকিয়ারছড়া এলাকায় কয়েক বছর ধরে ব্যাপক ভাঙছে মানসাই নদী। ইতিমধ্যে একটি মাটির বাঁধের একাংশ নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। একইসঙ্গে বনাঞ্চলের বেশ কিছুটা অংশ ভাঙনের কবলে। চকিয়ারছড়ার বাসিন্দা মন্টু বর্মন, জীবন রায় বলেন, ভাঙন রোধে পাথরের বাঁধ দেওয়ার দাবি অনেকবার জানিয়েছি সেচদপ্তরের কাছে। সেচদপ্তরের আধিকারিকরা এসে সমস্ত কিছু দেখে গিয়েছেন। পাড়ায় সমাধান ক্যাম্পে ভাঙন সমস্যা নিয়ে জানিয়েছিলাম। তারপরও কাজ হয়নি। মাটির বাঁধের প্রায় তিনশো মিটার এলাকা নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় জল ঢুকে পড়ছে চাষের জমিতে। কয়েকশো পরিবার জলবন্দি হওয়ার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে।  


    মাথাভাঙা বনদপ্তরের রেঞ্জার সুদীপ দাস বলেন, চকিয়ারছড়া এলাকায় আমাদের তেকুনিয়া বনাঞ্চলের একটি অংশ নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে। কয়েক বছর ধরে আমরা সেচদপ্তরকে বিষয়টি জানাচ্ছি। ভিজিটও হয়েছিল। এরপর আর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। নতুন করে বেশকিছু গাছ লাগানো হয়েছিল, কিন্তু সেগুলিও ভাঙনে ভেসে গিয়েছে। 


    মাথাভাঙা মহকুমা সেচদপ্তরের বাস্তুকার শ্রীবাস ঘোষ বলেন, ভোজনেরছড়া ও চকিয়ারছড়া এলাকায় কয়েকবার গিয়েছিলাম। আমরা একটি প্রকল্প তৈরি করে বরাদ্দের জন্য রাজ্যে পাঠিয়েছি। বরাদ্দ এলেই আমরা বাঁধের কাজ শুরু করব। অস্থায়ীভাবে ভাঙন রোধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যায় কি না, সেটাও দেখছি আমরা। 
  • Link to this news (বর্তমান)