সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: গোটা দেশের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির সরাসরি যোগাযোগ ঘটায় অসমগামী ৩১সি জাতীয় সড়ক। এই রাস্তায় আলিপুরদুয়ারের দমনপুর থেকে হাসিমারা পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিমি রাস্তার মধ্যে একাধিক সেতু বেহাল। অভিযোগ, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে বলেও কোনও লাভ হচ্ছে না। তাদের টালবাহানায় ক্ষুব্ধ জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদ।
জেলার লাইফ লাইন এই জাতীয় সড়কে যানবাহনের মারাত্মক চাপ। জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের আশঙ্কা, যে কোনও সময় বেহাল সেতু ভেঙে পণ্যবাহী লরি কিংবা যাত্রীবাহী বাস নীচে পড়ে গিয়ে বড় ধরনের বিপর্যয় হতে পারে। জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ ও পুলিসের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও বেহাল সেতু মেরামত হয়নি।
জেলাশাসক আর বিমলা বলেন, দমনপুর থেকে হাসিমারা পর্যন্ত ৩১সি জাতীয় সড়কে একাধিক সেতু অনেকদিন ধরে বেহাল। যান চলাচলের সময় ভাঙা অংশে গাড়ির চাকা পড়ে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেতু। এতে যেকোনও সময় বড় বিপদ হতে পারে। বেহাল সেতুগুলি মেরামতের জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে অতীতে কয়েকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। মিটিংও করা হয়েছে, কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।
আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সভাধিপতি স্নিগ্ধা শৈব বলেন, আমি নিয়মিত ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। জেলা পরিষদ থেকেও বেহাল সেতুগুলি সারাইয়ের জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে বার কয়েক চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সেতু মেরামতে কোনও গরজ নেই।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, দমনপুর থেকে হাসিমারা পর্যন্ত ৪০ কিমি ওই জাতীয় সড়কে পোড়ো, বানিয়া, ডিমা ও কালজানি সেতু দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। সবক’টি সেতুই কালচিনি ব্লকে। এছাড়া নিমতি এলাকা ছাড়িয়ে আরও একটি সেতু বেহাল।
পুলিস প্রশাসনের আশঙ্কা, যান চলাচলের সময় বেহাল সেতু ভেঙে যেকোনও দিন বড় ধরনের বিপত্তি ঘটতে পারে। নিমতি ফাঁড়ির ওসি সঞ্জীব বর্মন বলেন, পুলিসের পক্ষ থেকেও বেহাল সেতুগুলি মেরামতের জন্য একাধিকবার জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। কিন্তু তারপরও মেরামত হয়নি সেতু।
যদিও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের ১০ নম্বর ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার জীতেন্দ্র প্যাটেল বলেন, পাঁচটি বেহাল সেতু আমূল সংস্কারের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া হয়েছে। শীঘ্রই ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে কাজ শুরু করা হবে।