• কলকাতায় বিশ্ববঙ্গ শপিং ফেস্টিভাল: কেনাকাটা করলেই মিলবে বড় পুজোর পাস  
    বর্তমান | ১২ জুলাই ২০২৪
  • প্রীতেশ বসু, কলকাতা: হাতে সময় ৯০ দিনেরও কম। মা আসছেন মর্ত্যে। শুরু হয়ে গিয়েছে কাউন্টডাউন। ব্যস্ততা বাড়ছে পুজো উদ্যোক্তাদেরও। পিছিয়ে নেই রাজ্য সরকারও। পুজোর মরশুমে বাংলার শিল্পীদের তৈরি বালুচরি, জামদানি, শান্তিপুরি শাড়ি, জুতো, হস্তশিল্প, জামা, প্যান্ট, গয়নার পাশাপাশি রাজ্যের জিআই স্বীকৃত বিভিন্ন পণ্য বাজারজাত করতে এবার দুবাইয়ের ধাঁচে কলকাতায় বিশ্ববঙ্গ শপিং ফেস্টিভালের আয়োজন করবে রাজ্য। আর এখানে কেনাকাটা করলেই কলকাতার বড় পুজো দেখার বিশেষ পাস পেতে পারেন আম জনতাও। মূলত শপিং ফেস্টিভালকে প্রচারের আলোয় নিয়ে আসতেই এই পরিকল্পনা বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।


    গত ১৩ জুন নবান্ন সভাঘরে শিল্প বৈঠক চলাকালীন ‘শোকেস ওয়েস্ট বেঙ্গল’ থিমকে মাথায় রেখে এই শপিং ফেস্টিভাল করা হবে বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই কীভাবে এই ফেস্টিভালকে জনপ্রিয় করে তোলা যায়, তা নিয়ে একাধিক বৈঠকে বসেছেন ক্ষুদ্র শিল্পদপ্তর সহ নবান্নের শীর্ষকর্তারা। সেখানেই উঠে আসে ক্রেতাদের বড় পুজোগুলির পাস দেওয়ার বিষয়টি। ইতিমধ্যে কলকাতার বেশ কিছু বড় পুজো কমিটির কর্ণধারদের সঙ্গে কথা হয়েছে নবান্নের আধিকারিকদের। তবে কোন কোন পুজো এই তালিকায় থাকবে বা কোন নিয়মে পাস দেওয়া হবে—তা নিয়ে আলোচনা চলছে। শপিং ফেস্টিভালে অংশগ্রহণকারী নামজাদা সংস্থাগুলি দামে ছাড় বা লটারির মাধ্যমে ক্রেতাদের বিশেষ উপহার দিতে পারে বলেও জানিয়েছেন এক আধিকারিক। সায়েন্স সিটির বিপরীতে বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গনে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর শপিং ফেস্টিভালের উদ্বোধন করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। তা চলবে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। 


    প্রতি বছরই পুজোর মুখে লেটেস্ট ফ্যাশনের পোশাক থেকে জুতো কিনতে বিভিন্ন জায়গায় ভিড় জমান উৎসাহীরা। সেকথা মাথায় রেখে এই ফেস্টিভালের মধ্যে দিয়ে সবকিছুকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য। জানা গিয়েছে, রাজ্যের খ্যাতনামা হস্তশিল্পী, শাড়ি ও তাঁত শিল্পী, জুতো প্রস্তুতকারক, বস্ত্র, চর্ম ও জুটশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী ও গয়না প্রস্তুতকারকরা হাজির হবেন এই ফেস্টিভালে। ফলে বিভিন্ন জিনিস কিনতে আর আলাদা আলাদা জায়গায় যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। থাকবে বিশ্ব বাংলা, বাংলার শাড়ির পাশাপাশি স্বনির্ভর গোষ্ঠী পরিচালিত সৃষ্টিশ্রীর মতো সংস্থার বিপণিও। কেনাকাটার ফাঁকে আম জনতা যাতে পেটপুজোও সারতে পারেন, তার জন্য থাকবে রাজ্যের প্রতিটি জেলার বিখ্যাত সব মিষ্টি ও খাবারের স্টল। এই ফেস্টিভালকে সামনে রেখে বড় বড় ই-কমার্স গ্রুপগুলির সঙ্গে রাজ্যের উৎপাদনকারীদের সংযুক্তির উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে। রপ্তানি এবং বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যবসায়ীদের মধ্যে বি-টু-বি এবং বি-টু-সি’র জন্য থাকবে পৃথক জোন। আসতে পারে দুবাইয়ের প্রতিনিধি দলও। বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গনে মূল অনুষ্ঠান চলবে চার দিন। এরপর ৬ অক্টোবর পর্যন্ত একাধিক শপিং মল এবং মার্কেট কমপ্লেক্সে চলবে এই ফেস্টিভাল। 
  • Link to this news (বর্তমান)