সৌগত রায়ের পর মদন মিত্রকে প্রাণনাশের হুমকি, তীব্র চাঞ্চল্য
বর্তমান | ১২ জুলাই ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: দমদমের সাংসদ সৌগত রায়কে খুনের হুমকি দেওয়ার চাঞ্চল্যকর ঘটনার পর ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও, গ্রেপ্তার হয়নি কোনও দুষ্কৃতী। এই পর্বেই এবার প্রাণনাশের হুমকি পেলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। জয়ন্ত সিংকে জেল থেকে ছাড়ার ব্যবস্থা করা না হলে, খুন করা হবে সাংসদকে—এমন হুমকি পেয়েছিলেন সৌগতবাবু। কারা ফোন করেছিল, তা এখনও জানা না গেলেও ফোন এসেছিল বেঙ্গালুরু থেকে। এনিয়ে সেখানকার পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তদন্তকারীরা। তার মধ্যেই কামারহাটির বিধায়ককে হুমকি ফোন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তিনিও পুলিস কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিস জানিয়েছে, দুই ঘটনারই তদন্ত চলছে। আড়িয়াদহের ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবার মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুম্বই যাত্রার প্রাক্কালে কলকাতা বিমানবন্দরে তিনি বলেন, উপ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য ২০২১ সালের একটি ঘটনার ভিডিও লাগাতার ৭২ ঘণ্টা ধরে প্রচার করা হয়েছে। পরিকল্পনামাফিক এটা করা হয়েছে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা এখন অ্যারেস্ট হয়ে জেলে রয়েছে। এদিন বিকেলে নবান্নে সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) বলেন, আড়িয়াদহের যে ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাওয়া ওই ব্যক্তি একজন পুরুষ, মহিলা নন। এটাকে মিস ইনফরমেশন বলে বর্ণনা করবে রাজ্য সরকার। অভিযুক্ত জয়ন্ত সিং এলাকায় দুষ্কৃতী হিসেবে পরিচিত। ২০১৬ সাল থেকে পাঁচটি মামলায় মোট পাঁচবার গ্রেপ্তারও হয়েছিল। অন্যদিকে, তালতলা ক্লাবে লাঠি দিয়ে পেটানোর নৃশংস ভিডিও সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করার ঘটনায় পুলিস দু’জন যুবককে নোটিস দিয়েছিল। পুলিস জানায়, নির্মম অত্যাচারের শিকার হওয়া মানুষকে তাঁরা চেনেন কি না, তা জানার জন্য নোটিস দেওয়া হয়। গ্রেপ্তারির আশঙ্কায় ওই দুই যুবক কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বৃহস্পতিবার তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চ।
অন্যদিকে, তালতলা ক্লাবের মধ্যে এক নাবালককে মারধরের ঘটনায় প্রসেনজিৎ দাস ওরফে লাল্টু নামে জয়ন্ত সিংয়ের অপর এক শাগরেদকে বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ধৃতকে বারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এর মধ্যেই পুলিসের চিন্তা বাড়িয়েছে মদন মিত্রকে দেওয়া প্রাণনাশের ধমকি। মদনবাবু বলেন, বুধবার রাতে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন এসেছিল। স্পষ্ট বাংলায় হুমকি দিয়ে বলা হল, আড়িয়াদহ নিয়ে এত মুখ খুলছিস। তোকে এবার গুলি করে মেরে ফেলে দেব। এখানে আমাদের সাম্রাজ্য চলবে, তৃণমূলের রাজত্ব চলবে না। বৃহস্পতিবার সকালে ফের ফোন এসেছিল। কিন্তু ঘুমিয়ে থাকায় ওই ফোন ধরতে পারিনি।