• মানিকতলার কোথাও পুনর্নির্বাচন নয়, বিজেপির দাবি ফেরাল কমিশন
    বর্তমান | ১২ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মানিকতলা বিধানসভা উপ নির্বাচনে ৮৯টি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিল বিজেপি। সে দাবি খারিজ করল নির্বাচন কমিশন। ভোট মিটে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার স্ক্রুটিনি শেষে কমিশন জানিয়েছে, কোনও বুথে অশান্তি, গন্ডগোল, বা ছাপ্পা ভোটের খবর মেলেনি। ফলে যত ভোট পড়েছে তার গণনা হবে আগামী শনিবার। এদিকে এদিন চার কেন্দ্রে ভোটদানের চূড়ান্ত হার প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। চার কেন্দ্রে ভোটের মোট হার ৬৬.৯৫ শতাংশ। চারটি কেন্দ্রের মধ্যে সবথেকে বেশি ভোট পড়েছে রায়গঞ্জে। এই কেন্দ্রে ভোটের হার ৭১.৯৯ শতাংশ। রানাঘাট দক্ষিণে ৭০.৫৬, বাগদায় ৬৮.৪৪ এবং মানিকতলায় ভোটের হার ৫৪.৯৮ শতাংশ।


    সাধন পান্ডের মৃত্যুর কারণে বুধবার মানিকতলা বিধানসভায় উপ নির্বাচন হয়েছে। সাংগঠনিক শক্তির জোরে প্রার্থী সুপ্তি পান্ডেকে জয়ী করতে দিনভর ভোট ময়দানে ছিলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। সেভাবে খুঁজে পাওয়া যায়নি কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিকে। যদিও বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে অভিযোগ করেন, কাঁকুড়গাছি, ফুলবাগান সহ মানিকতলার একাধিক এলাকায় বহিরাগতদের এনে ছাপ্পা ভোট দিয়েছে তৃণমূল। উপ নির্বাচনের দিন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মানিকতলায় দাপিয়ে বেড়িয়েছে। ৮৯টি বুথে ছাপ্পা হয়েছে। এই অভিযোগগুলি তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, কোনও বুথে পুনর্নির্বাচন হবে না। 


    এরপর তৃণমূলের বক্তব্য, বিজেপির দাবি ও অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কমিশনের রিপোর্টেই তা ধরা পড়েছে। মানিকতলা বিধানসভার তৃণমূলের আহ্বায়ক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বিজেপির কোনও সংগঠন নেই। তাই তৃণমূল দেখলেই শুধু অভিযোগের ফিরিস্তি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের রিপোর্টেই বিজেপি জোর ধাক্কা খেল। বিজেপির পুনর্নির্বাচনের দাবিতে শিলমোহর দিল না নির্বাচন কমিশন। আরও হাস্যকর, বিজেপি এমন একটি বুথে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলেছে, যা মানিকতলা এলাকাতেই নেই। তাছাড়া স্ক্রুটিনির সময় প্রার্থী বা বিজেপির কোনও প্রতিনিধি হাজির না থাকায় সহজ অঙ্কেই বোঝা গিয়েছে, বিজেপির সংগঠন শুধু খাতায়-কলমে।’ অন্যদিকে দাবি অগ্রাহ্য হওয়ার পর নির্বাচন কমিশনের দিকে আঙুল তুলতে ছাড়েনি বিজেপি। উত্তর কলকাতার বিজেপি সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারত নির্বাচন কমিশন। তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা দুর্ভাগ্যজনক।’


    তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট অনুযায়ী, মানিকতলায় জয় নিয়ে কোনও সংশয় নেই। বরং লোকসভার থেকে জয়ের ব্যবধান বাড়বে। লোকসভায় তৃণমূল মানিকতলায় এগিয়ে ছিল তিন হাজারেরও কিছু বেশি ভোটে। উপ নির্বাচন শেষে নেতৃত্বের আশা, ভোট কম পড়লেও জয়ের ব্যবধান ১০ হাজারের বেশি হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)